অনিশ্চিত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল
পর্যটন মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহি জাহাজ চলাচল নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
১ অক্টোবর থেকে জাহাজ চলাচলের কথা থাকলেও মিয়ানমারের উত্তেজনার আঁচে নিরাপত্তা স্বার্থে জাহাজ চলাচল আপাতত চালু হচ্ছে না। জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দাবি, নাব্যতা সংকটের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে আগামী ৬ অক্টোবর চালু হচ্ছে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিনগামি দুটি জাহাজ চলাচল।
প্রায় ৬ মাস ধরে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে বন্ধ রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই নৌরুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার।
সি ক্রুজ অপারেটরস্ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে জাহাজ সরাসরি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যেতে পারবে। নাব্যতা সংকটের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই নৌরুট দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করবে না। আপাতত আগামী ৬ অক্টোবর থেকে প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে কর্ণফুলী জাহাজ রওনা হবে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নাব্যতা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। নাব্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ জন্য আপাতত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে এই
মুহুর্তে জাহাজ চলাচল ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।
সী ক্রুজ অপারেটরস্ ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (স্কোয়াব) এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে দুটি জাহাজ চলাচল করলে শুধুমাত্র ১৫০০'র মতো পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণকরতে পারবেন। তার উপর চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ অনেকটায় ব্যয়বহুল। এটা সাধারণ যারা পর্যটক রয়েছেন তাদের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হবে না।
হোসাইন ইসলাম বাহাদুর প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি যত দ্রুত সম্ভব টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহহী জাহাজগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানান।