১০ হাজার ঘরবাড়ি, ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি আর ১ হাজার মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত সিত্রাংয়ে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সারাদেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার বাড়িঘর, ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং এক হাজার মাছ ধরার ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; প্রাণহানি হয়েছে ৯ জনের।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ের সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এনামুর রহমান বলেন, "ডিসেম্বরে দেশে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের সুদহীন ঋণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হওয়া ৮০ লাখ মানুষের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুতের মোট গ্রাহক ৪ কোটি ৮০ লাখ, যাদের মধ্যে প্রায় ৮০ লাখ মানুষই লোডশেডিংয়ের শিকার।
আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আমরা যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকদের জন্য বৈদ্যুতিক সংযোগ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছি।"
সেক্ষেত্রে হাসপাতাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ঘূর্ণিঝড়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৮০০ খুঁটিসহ প্রায় দুই হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নসরুল হামিদ উল্লেখ করেন।
বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার কাছে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে।
এতে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারের মতো উপকূলীয় জেলায় আঘাত হানে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। অনেক জেলায় সংযোগ সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়ে।