পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
পায়রা সমুদ্রবন্দরের সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার একটি মূল চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
কর্মসূচির আওতায় তিনি আটটি জাহাজ চালু, প্রথম টার্মিনাল ও ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ উদ্বোধন করেন।
প্রকল্প অনুযায়ী, সমুদ্রবন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০ থেকে ১২৫ মিটার প্রশস্ত এবং ১০ দশমিক ৫ মিটার গভীর চ্যানেল তৈরি করা হবে।
একবার চালু হলে মোট ৪০ হাজার টন কার্গো বা তিন হাজারটি কন্টেইনার বোঝাই জাহাজ পায়রা বন্দরে ভিড়তে পারবে। চ্যানেলটি আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বেলজিয়ামের ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল নির্মাণ করছে।
আটটি জাহাজের মধ্যে দুটি পাইলট ভেসেল, দুটি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয় লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুটি টাগবোট।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, এই জাহাজগুলো বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিদেশি জাহাজের আগমন ও প্রস্থান পর্যবেক্ষণ এবং চ্যানেল বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
প্রথম টার্মিনাল, ছয় লেনের মহাসড়ক ও সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরে কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গো বহনকারী মোট তিনটি বিদেশি জাহাজ একসঙ্গে ভিড়তে পারবে। টার্মিনালটির ব্যয় হবে চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং এটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে।
ছয় দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ছয় লেনের সংযোগ সড়কটি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ (আরএইচডি) তৈরি করছে। ৬৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সড়কটি যান চলাচলের জন্যও খুলে দেয়া হবে।
পায়রা সমুদ্রবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর একটি এক হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটিতে ব্যয় হবে ৭৮০ কোটি টাকা। আড়াই বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করেন।