রংপুর সিটি নির্বাচনে জামানাত বাজেয়াপ্ত: সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে আওয়ামী লীগ
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'সেখানে সমস্যা আছে। এত ব্যবধান হওয়ার কথা না।'
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মেয়র হবে লাঙ্গলের, দ্বিতীয় হবে নৌকা— রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল নিয়ে এমন ধারণাই ছিল অনেকের। কিন্তু ভোটের ফলাফলের পর সব হিসাব উল্টে গেছে। চতুর্থ হয়ে জামানত হারিয়েছেন নৌকার প্রার্থী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা রংপুর সিটি নির্বাচনের বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। এক সপ্তাহের মধ্যে বড় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
'খেলা হবে জাতীয় নির্বাচনে। যা বলেছি ১১ বছরে, তা-ই করেছি। রংপুর এরশাদ সাহেবের (জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি) দ্বারা প্রভাবিত। মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (জাতীয় পার্টির প্রার্থী) ব্যক্তিগতভাবে পপুলার। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি।'
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, 'এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচনে নানা দিক বিবেচনা হয়। জনমত জরিপেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যাও আছে। নাহয় ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না।'
তিনি বলেন, 'আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা ছিল। আমরা তো কেউ সেখানে যাইওনি। আমরা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশও নিইনি।
'আগেই জানতাম এখানে এগিয়ে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখানে সরকারি দল থেকে কোনো বাড়াবাড়ি করা হয়নি। আমরা পিছিয়ে আছি বলে জোর করে এগিয়ে যাওয়ার কোনো চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে এখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আমি এটা মনে করি।'