উৎপাদন কমায় কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো
সংবাদমাধ্যমে বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পে কর্মী ছাঁটাই করার খবর আসছে নিয়মিতই। তবে দেশে স্বল্প-দক্ষতার কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর—যা এ খাতের বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে—সেভাবে সংবাদমাধ্যমে আসছে না।
শিল্পগুলো এ ছাঁটাইয়ের দায় দিচ্ছে চলমান ডলার-সংকটের কারণে আমদানি কমে যাওয়া ও কাঁচামালের সংকটের ওপর।
গত বছরের জুলাই থেকে চলমান ডলার সংকটের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়। এর ফলে গত কয়েক মাসে উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হওয়া উদ্যোক্তারা।
ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান স্টিলমার্ক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজওয়ানুল মামুন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) বলেন, 'আমার কোম্পানির বয়স প্রায় ২০ বছর। এই বিশ বছরে কোনোরকম কর্মী ছাঁটাই করা হয়নি। এমনকি করোনা মহামারির কঠিন সময়েও কোনো কর্মী ছাঁটাই করা হয়নি। এখন তা করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন কম হওয়ায় সম্প্রতি প্রায় ৪০০ কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছি।'
রেজওয়ানুল জানান, তার তিনটি কারখানার জন্য কাঁচামাল আমদানি করতে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ মিলিয়ন ডলারের এলসি (ঋণপত্র) খুলতেন। কিন্তু গত পাঁচ মাসে ১ মিলিয়ন ডলারের এলসি খুলতে পারেননি।
যে পরিমাণ কাঁচামাল রয়েছে, তা দিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনোরকমে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম চালানো যাবে বলে জানান তিনি।
শুধু ইস্পাত শিল্প নয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে পোশাক, টেক্সটাইল, ওষুধ, কেমিক্যালসহ আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল প্রায় সবগুলো খাতই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানোয়ার হোসেন টিবিএসকে বলেন, ইতিমধ্যে ছোটখাটো অনেকগুলো কোম্পানি বেশ কিছু কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) তথ্যমতে, ডলার সংকটের কারণে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করতে না পারায় মোট ৯০টির মধ্যে প্রায় ৪০টি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সমিতির তথ্যানুসারে, প্রতিটি ইয়ার্ডে গড়ে ৩০০ শ্রমিক কর্মরত ছিল।
মানোয়ার হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'সরকার যদি দ্রুত কোনো উদ্যোগ না নেয়, তাহলে এ মাসের শেষ বা মার্চ নাগাদ ইস্পাত খাতের ২০ শতাংশের বেশি কর্মী চাকরি হারাতে পারে।'
মার্চে বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে?
আমদানি ও উৎপাদন হ্রাসের কারণে গেল ডিসেম্বরে বেশ কয়েকটি শিল্পে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে কর্মচারীদের চাকরিতে ফেরানোর ব্যাপারে আশাবাদী ছিল প্রতিষ্ঠানগুলো।
কিন্তু ভবিষ্যৎ পরস্থিতি ভালো হবে, তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারখানাগুলো বলছে, ফেব্রুয়ারিতে তাদের কাঁচামালের মজুত শেষ হয়ে যাবে। সংকটাপন্ন ডলারের বাজার চাঙা না হলে মার্চে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।
ঢাকার মালিবাগের রফিক টেক্সটাইল লিমিটেডের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, 'এখন যে পরিমাণ তুলা মজুত আছে, তা দিয়ে আগামী মার্চ মাস নাগাদ আমাদের উৎপাদন চালানো যাবে। এরপর পরিস্থতির উন্নতি না হলে, কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই।'
নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমদানি সমস্যার কারণে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি কারখানার প্রায় দেড় হাজার কর্মীর মধ্যে ২০০ কর্মীকে গত ডিসেম্বর মাসে ছাঁটাই করতে হয়েছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) অতিরিক্ত পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, এলসি সমস্যার কারণে তুলা, সুতা ও কেমিক্যাল সংকট বেশ প্রকট। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদন কার্যক্রম সীমিত করতে হয়েছে।
বিটিএমএতে মনসুরের একজন সহকর্মী দাবি করেন, এ শিল্পে ইতিমধ্যে ১০ শতাংশের বেশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে।
নাম প্রকাশের শর্তে তিনি বলেন, 'পরিস্থিতির উন্নতি না হলে মার্চ ও পরের মাসগুলোতে আরও কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।'
আশুলিয়া ও গাজীপুরে চারটি পোশাক কারখানা পরিচালনাকারী একটি ব্যবসায়িক গ্রুপ জানুয়ারিতে ২ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। এখন মার্চের মধ্যে আরও ৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে তারা।
রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়ায় কারখানাগুলো সক্ষমতা সমস্যায় পড়েছে। টিকে থাকার জন্য গ্রুপটি তাদের মাসিক পরিচালন ব্যয় ৩০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ কোটি টাকায় নামিয়ে আনতে চাইছে।
গ্রুপটির একজন সিনিয়র নির্বাহী নাম না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে মূলত দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমা বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে কর্মী ছাঁটাই বেশি
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড অন্তত এক ডজন খাতের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ চাকরি ছাঁটাই হয়েছে স্বল্প-দক্ষ কর্মীদের। 'হোয়াইট কলার' কর্মীরা (অফিসকর্মী) এখন পর্যন্ত নিরাপদ আছেন।
বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলোতে। অন্যদিকে বড় উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলো এখনও স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া দেশের আইটি খাত এখনও স্থিতিশীল আছে।
স্টক মার্কেটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩০ শতাংশ চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে দ্বিগুণ-অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে। অন্যদিকে ৪০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা জুলাই-ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত মুনাফা ধরে রাখার পরিপ্রেক্ষিতে টিকে থাকতে পেরেছে।
সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও তারেক ইব্রাহিম টিবিএসকে বলেন, যে কোম্পানিগুলো জ্বালানি খরচ বা আমদানির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল নয়, তাদের ব্যবসা ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে খুব একটা কমেনি।
তারেক ইব্রাহিমের মন্তব্যে জানুয়ারিতে টঙ্গীর আজম পিভিসি পাইপের ৩০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। পাইপ প্রস্তুতকারক এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোল্লা নেছার উদ্দিন জানান, গত বছরের অক্টোবর থেকে তারা প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানি করতে পারছেন না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে জুনে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হতে পারে।
ব্যতিক্রম হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাত
তবে ব্যাপকভাবে ব্যাপকভাবে আমদানিকৃত কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল দেশের হোম অ্যাপ্লায়েন্স (গৃহস্থালি সরঞ্জাম) খাটে খুব বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়নি।
মূল্যস্ফীতির মধ্যে বিক্রি কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রি কমে যাচ্ছে, ব্যালান্স শিটেও চাপ তৈরি হচ্ছে, তবু এ খাটে পূর্ণ সরবরাহ আছে।
বাংলাদেশ ইলেকট্রনিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান খুরশেদ আলী মোল্লার তথ্যমতে, দেশে প্রায় ১৫০টি কোম্পানি যন্ত্রাংশ আমদানির পর হোম অ্যাপ্লায়েন্স আইটেম সংযোজন ও তৈরি করে।
'কিন্তু চলমান পরিস্থিতি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবস্থা খারাপ হতে পারে,' বৃহস্পতিবার টিবিএসকে বলেন তিনি।
দেশে সবচেয়ে বেশি অদক্ষ ও স্বল্প-দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয় তৈরি পোশাক খাত। এই খাতটি এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কারখানাগুলো এখনও মজুত করা কাঁচামাল দিয়ে কাজ চালাচ্ছে বলে স্থানীয় পোশাক শিল্প এখনও আমদানির ধাক্কা টের পায়নি।
তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে গার্মেন্টস ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মালিকরা শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেন ফারুক হাসান।
তবে রপ্তানি আদেশ কমার বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, স্থানীয় পোশাক শিল্পে প্রভাবটা সেভাবে পড়ছে না। স্টকে থাকা মালামাল দিয়ে অপাতত চলছে।
তবে এই সমস্যা দীর্ঘ হলে পোশাক খাতে প্রভাব পড়বে এবং মালিকরা কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেন ফারুক হাসান।
বেতন দিতে না পারায় কর্মীদের বিদায় দেওয়া হচ্ছে
রাজধানীর গুলশান এলাকায় মওলা ট্রেডার্স-এর স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন তার ৪২ কর্মীকে অন্য জায়গায় কাজ খুঁজতে বলে দিয়েছেন।
তিনি টিবিএসকে বলেন, 'কর্মীরা আমার পরিবারের সদস্যের মতো। তাদের জন্য খারাপ লাগছে। কিন্তু ব্যবসাই যদি বন্ধ করে দিতে হয় তো আমার আর কী করার আছে?'
এই ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে তিনি ৬-৭টি এলসি খুলতেন। কিন্তু গত নভেম্বর থেকে একটি এলসিও খুলতে পারেননি।
আনোয়ার হোসেন মূলত সসেজ, ফল, ওষুধসহ বিভিন্ন ফুড সাপ্লিমেন্ট আমদানি করেন। এখন তার স্টকে যে পণ্য আছে, তা এ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
'এরপর ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কর্মীদের বেতন, অফিস ভাড়াসহ কোনো কিছুই দেওয়া সম্ভব হবে না। আগামী মাস থেকে ব্যাংক ঋণের কিস্তি পরিশোধেরও সুযোগ নেই,' জানান আনোয়ার।
মওলার কর্মীরা অন্তত চাকরি হারানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু রফিক টেক্সটাইল লিমিটেডের মেশিন অপারেটর রাশেদুল হক সেই সুযোগও পাননি। রাশেদুল বলেন, তাকে হুট করেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। তিনি জানান, ডিসেম্বরে ছাঁটাই করতে নভেম্বরের ৩০ তারিখে তাকেসহ ২০০ জনকে নোটিশ দেওয়া হয়।
রাশেদুল এরপর রংপুরের তারাগঞ্জ এলাকায় নিজের গ্রামে ফিরে যান। আপাতত তিনি কৃষিকাজ করছেন।
কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ছাঁটাইকৃত কর্মীদের আবার ডাকা হবে। ফলে চাকরি থেকে ছাঁটাই হওয়ার পর আইনগতভাবে তাদের যে টাকা পাওয়ার কথা, তা এখনো দেওয়া হনি।
সাভার ট্যানারি এস্টেটে অবস্থিত বে ট্যানারিজ (ইউনিট-২) লিমিটেড বকেয়া পরিশোধের পর ৬০ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়ে গত ডিসেম্বরে বিজ্ঞপ্তি দেয়।
কোম্পানিটির সহকারী ব্যবস্থাপক (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন) কাজী শাহজাহান বলেন, বিদেশি অর্ডার পাচ্ছে না বলে সাভারের সব ট্যানারই সমস্যায় পড়েছে।
বর্ধমান বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ
ছাঁটাইয়ের কারণে বাংলাদেশের বেকারত্বের হার আরও বাড়তে পারে। ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে বেকারত্বের হার ৬.৪৭ শতাংশে পৌঁছে।
অথচ আগের দুই দশকে বেকারত্বের হার ছিল ৪.২ শতাংশ থেকে ৪.৫ শতাংশের মধ্যে।
বেকারত্ব নিয়ে এই উদ্বেগের মধ্যে ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যয়-সংকোচন তাদের ব্যবসার জন্য ভাল নয় এবং এটি অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি বলেন, এলসি খোলা কমে যাওয়ার ফল দীর্ঘমেয়াদে ভালো হবে না।
কর্মী ছাঁটাইয়ের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের অবনতি নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 'ডলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে কোনো সমাধান আসবে না,' বলেন তিনি।
অ্যাসোসিয়েশন অভ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আরএফ হুসেইন বলেন, পরিস্থিতি এমন যে আগের মতো সবকিছু আমদানি করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ডলারের বাজারকে আগে 'কমফোর্ট জোনে' ফিরে আসতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ গত বছরের ১৫ নভেম্বর বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি খোলার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ব্যাংকগুলো তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এলসি খুলছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালের তথ্য অনুযায়ী, ভোগ্যপণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি, মধ্যবর্তী পণ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমেছে।