সিলেট সিটি নির্বাচন: সমাবেশের অনুমতি ‘আদায় করে নিলেন’ আরিফ
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না এ ব্যাপারে ২০ মে (শনিবার) সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করে ঘোষণা দেবেন--এমনটি আগেই জানিয়েছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তবে রেজিস্ট্রারি মাঠে আরিফকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আরিফকে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ না করার অনুরোধ করা হয়।
পুলিশের অনুমতি না পেয়ে ক্ষুব্ধ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শুক্রবার বিকেলে নিজের অনুসারীদের নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠের বন্ধ ফটকের সামনে বসে পড়েন। এ সময় নেতাকর্মীরা আরিফের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার আগপর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, 'সমাবেশের জন্য আমি তিন দিন আগে পুলিশকে চিঠি দিয়েছে। টিভি-পত্রপত্রিকায় প্রচারণা চালিয়েছি, মাইকিং করেছি। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়। আমি আমার অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য মহানগরবাসীকে ডেকেছি।'
পুলিশ তাকে সড়ক থেকে সরে যেতে বললে মেয়র বলেন, 'আমি এখান থেকে সরছি না। প্রয়োজন হলে আমাকে আটক করেন। গ্রেপ্তার বা জেলের ভয় দেখিয়ে আমকে আটকানো যাবে না।'
প্রায় ঘণ্টাখানেক মাঠের সামনের সড়কে অবস্থানের পর পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর খুলে দেওয়া হয় রেজিস্ট্রারি মাঠের বন্ধ ফটক। পরে সমাবেশের জন্য ডেকোরেটারের সরঞ্জামাদি প্রবেশ করে মাঠে।
এ ব্যাপারে বিকেলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন শঙ্কায় আরিফুল হক চৌধুরীকে সমাবেশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছিলে। তবে পরে মেয়রের অনুরোধে তাকে শনিবার সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপি নেতা আরিফুল হক নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে শুরু থেকেই গুঞ্জন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আরিফুল হকের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড এই গুঞ্জন ও নগরবাসীর কৌতূহল আরও বাড়িয়েছে।
এ অবস্থায় শনিবার বেলা ২টায় রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ আহ্বান করেন আরিফুল হক। এই সমাবেশ থেকে নির্বাচন ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।