চলছে দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে খুলনা এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দুই সিটির আট লাখেরও বেশি ভোটার মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোট দেবেন।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, 'নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার পালা। আমরা আশা করি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।'
কেসিসি নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
নির্বাচনের কাজে মোট ৪ হাজার ৮২০ জন পুলিশ ও ৩ হাজার ৪৬৭ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ ভোটকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার এবং সাধারণ প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ ও ১০ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে ৭১টি মোবাইল পেট্রোল টিম, ২০টি অতিরিক্ত মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও প্রতিটি থানায় স্ট্যান্ডবাই ফোর্স মাঠে রয়েছে।
এবারের কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৫ প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আবদুল খালেক, জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মোঃ আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে এস এম শফিকুর রহমান।
অন্যদিকে বরিশাল সিটিতে ভোটার সংখ্যা ২৭৪,৯৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪।
নগরীতে ১২৬টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১১৬ জন প্রার্থী। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন ৪২ জন।
এ সিটিতে মেয়র পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী হোসেন হাওলাদার, জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান।