বিএলআরআই থেকে গবেষণার ৩৮টি মোরগ চুরি
ঢাকার সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিএলআরআই) থেকে গবেষণার জন্য পালন করা ৩৮টি মোরগ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ঈদুল আজহার আগের রাতে মোরগগুলো চুরি হয় বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড'কে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিএলআরআই) তথ্য কর্মকর্তা দেবজ্যোতি ঘোষ।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, 'ঈদের আগের রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।'
বিএলআরএই-এর পোল্ট্রি ও উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাকিলা ফারুক টিবিএসকে বলেন, 'ঈদের ছুটির মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে, আমি তখন ছুটিতে ছিলাম। ৫ জুলাই অফিসে এসে একটি চিঠি পেয়ে জানতে পেরেছি যে তদন্ত কমিটি হয়েছে।'
এ ঘটনায় এক সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও চুরি হওয়া মোরগগুলো আরআইআর ও হোয়াইট লেগহর্ন জাতের বলেও নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।
সূত্র জানায়, বিএলআরআই-এর পোল্ট্রি ও উৎপাদন গবেষণা বিভাগ দীর্ঘদিন যাবত এই মোরগগুলো নিয়ে গবেষণা করে আসছে। ১৯৯৯ সালের দিকে জাপান সরকার থেকে উপহার পাওয়া ৪টি জাতের মধ্যে দুটি জাত এগুলো। এসব জাত গবেষণা করেই বিভিন্ন সময় স্বর্ণা, সুবর্ণ, শুভ্রার মত বিভিন্ন উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে বিএলআরআই।
ঈদুল আজহার আগের রাতে 'পিউর লাইন' মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়। যদিও চুরির পরপরই বিষয়টি কর্তৃপক্ষ জানলেও তা প্রকাশ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে। যে শেডে মোরগগুলো ছিল, সেখানে মোট ৩০০ মোরগ রাখা ছিল। এর মধ্য থেকে আরআইআর ও হোয়াইট লেগহর্ন জাতের ৩৮টি মোরগ চুরি হয়।
তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।