বিরোধীদের সমালোচনার মধ্যেই সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস
বিরোধী আইন প্রণেতাদের সমালোচনার মধ্যেই বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস হয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, আইনটি বাক স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে, মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিলটি উত্থাপনের সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'খসড়া আইনে, ১৭, ১৯, ২৭ এবং ৩৩ ধারার অধীনে অপরাধগুলিকে জামিন অযোগ্য রাখা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) দায়ের করা চলমান মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া আগের আইনে চলবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ময়মনসিংহ-৮ আসনের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম খসড়া আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিলটি শুধু নাম পরিবর্তনের জন্য উত্থাপন করা হয়েছে তবে উদ্বেগ একই থাকবে।
আইনটি প্রণয়নের বিরোধিতা করে গাইবান্ধা-১ আসনের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংবিধানে চিন্তার স্বাধীনতার, বাক স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলা হলেও এই আইনের (সাইবার নিরাপত্তা) ৪২ ধারা বাক স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
নতুন আইনের বিশেষ ধারা নিয়ে আপত্তি তুলে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রস্তাবিত আইনের ২৫,২৮ ও ৩১ ধারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বাধা।
গণফোরামের সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশোধনী নতুন বোতলে পুরানো মদ প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কিছুই নয়।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, প্রস্তাবিত আইনের ৪২ ধারায় পুলিশের হাতে একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।