আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আসন্ন সমাবেশগুলো কখন ও কোথায়
আগামী ১৫ দিনের জন্য নির্ধারিত ১১টি জনসভার মধ্যে আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রথম সমাবেশ করেছে বিএনপি। চারদিন পর আওয়ামী লীগও তাদের নিজস্ব কর্মসূচি শুরু করবে।
যদিও কর্মসূচিগুলোর স্থান আলাদা রাখা হয়েছে, তারপরও উত্তেজনার কমতি নেই। বিশেষ করে ১৮ জুলাই বিএনপির দেশব্যাপী রোডমার্চে একজন নিহত ও অনেকে আহত হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের উত্তাপ ছড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এরপর আগস্টে আরও একাধিক রাজনৈতিক সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হন। যদিও আসন্ন সমাবেশগুলোর মধ্যে দূরত্ব রয়েছে, তবে এগুলোকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সংঘর্ষ নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে।
২ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি'র প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আগস্ট মাসে 'রাজনৈতিক সহিংসতার' ৭৪টি ঘটনায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ৮৭৮ জন আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এসব হতাহতের অধিকাংশই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল ও বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে ঘটেছে। এ ছাড়াও জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে তার সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন।'
ঢাকায় ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর জুলাই মাসের রাজনৈতিক সমাবেশের আগে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান না থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
'আমি পুনর্ব্যক্ত করব যে, গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনও স্থান নেই, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষপাতিত্ব করি না,' মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ২৭ জুলাই ওয়াশিংটনে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন।
ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সফরের সময়ও একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টির পুনরায় আহ্বান করা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত শান্তি বজায় থাকেনি। আর রাজনৈতিক অঙ্গনে এ অশান্তি ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সাধারণ নির্বাচনের আগে কী ঘটবে তা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা জাগিয়ে তুলেছে।