নয়াপল্টনে বসানো হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের আশেপাশে ৬০টির বেশি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা বসাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সমাবেশে আসা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এগুলো বসানো হচ্ছে।
সেন্ট্রাল একটা মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো থেকে পাওয়া ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সমাবেশের আগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
এসময় তিনি বলেন, আগামীকাল শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে লাখ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। এ কারণে আমরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ডিবির একাধিক টিম ঘুরে ঘুরে দেখছি। ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে।
জামায়াত ইসলামী সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তারা যদি সমাবেশ করে তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন যদি না থাকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশের কথা বললেই তাদেরকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। কাকে কোথায় দিতে হবে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখবেন। ঢাকা শহরের নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
নাশকতার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, ঝুঁকির কথা বিবেচনা করেই থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও চেকপোস্ট জোরদার করা হয়। লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় ঢুকবে, এরমধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। এজন্য আমাদের টহল পার্টি জোরদার আছে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হচ্ছে।
ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আমাদের রুটিন ওয়ার্ক। আগামীকাল মহাসমাবেশ বলে মনে হচ্ছে এরেস্ট হচ্ছে। তবে তা নয়। সব সময়ই এ ধরনের এরেস্ট হয়। যার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে তাকে আমরা আজকেও গ্রেফতার করবো, কালকেও করবো, ভবিষ্যতেও করবো৷