জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, যে কোনো মূল্যে শনিবারের সমাবেশ করব: জিএম কাদের
অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট গঠন করলেও জাতীয় পার্টি ক্ষমতাসীনদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহযোগী ছিল না বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। আজ (শুক্রবার) সকালে বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, "জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আগের (আওয়ামী লীগ) সরকারের কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে আমরা জড়িত ছিলাম না।"
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, "২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবাই আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছিল। ২০১৪ ও '২৪-এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিল।"
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, "১৯৯০ সাল থেকে আমাদেরকে শেষ করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, এখনকার জাতীয় পার্টির নিয়ে যা হচ্ছে তা সেই ষড়যন্ত্রের অংশ। গত কিছুদিন ধরে একটা ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের দোসর বলে নানা অপ্রচার করছে। আমরা শুরুতে ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা এখনও চলছে।"
জিএম কাদের বলেন, "যে কোনো মূল্যে শনিবারের সমাবেশ করব। আমাদের ২ নভেম্বরের কর্মসূচি এখনও বহাল রয়েছে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশের ভালোর জন্য লড়াই করে যাবো।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা আমাদের রাজনীতি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছে তাদের রাজনীতি। আওয়ামী লীগের অপকর্মের প্রতিবাদ করেছি। তাদের অপকর্মের দায় আমাদের নয়।"
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, শেরিফা কাদের, আলমগীর শিকদার লোটন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি মশাল মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যান। আন্দোলনকারীরা বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে থাকার কারণে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করার অধিকার নেই।
একপর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা অফিসের ভেতর থেকে বের হয়ে আসেন। তখন সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে আন্দোলনকারী জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যান। এরপর কার্যালয়টিতে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা।