র্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুবির দশ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন পর্যায়ের শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড।
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর খুবির শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে, ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের সাইফ নেওয়াজকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। যেগুলি হল– বিনা কারণে জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করা, গভীর রাত পর্যন্ত তাদের মাঠে আটকে রাখা, জুনিয়র ব্যাচকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি, জুনিয়র ব্যাচের নেতৃত্বদানকারীদের নানান কারণে জবাবদিহিতা ও র্যাগিং সংস্কৃতির পক্ষে বক্তব্য দেওয়া।
প্রায় একই অপরাধে ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের মো. সুমন রহমানকে ৫ হাজার টাকা, সানজিদা আফরিন ময়ুরীকে ১৫ হাজার টাকা, মো. নূর আলমকে ১৫ হাজার টাকা এবং মো. বনি আমিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সঙ্গে অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
লিমন নামের এক শিক্ষার্থীর বুকে লাথি মারা ও ইট ছুড়ে মাথায় আঘাতের অপরাধে ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের মুহম্মদ জারিফকে ৩য় বর্ষের দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর মুহম্মদ জারিফের অপরাধের সঙ্গী হিসেবে একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ তামিমকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ছাড়া, মাদকসহ হাতেনাতে ধরা পড়ায় নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের মো. কবিরুল ইসলাম বিন্দু, সন্দীপ পাল ও মোজতবা'কে ৪র্থ বর্ষের দুই টার্মের জন্য বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ পরিপন্থি হবে না মর্মে অভিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ লিমন বলেন, 'তদন্ত প্রতিবেদন পর্যলোচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তাদের মুচলেকা ও জরিমানার টাকা দিতে হবে। তবে শাস্তির বিষয়ে তারা নিয়মানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন।'