বগুড়ার এক আসনেই ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
বগুড়ার তিন আসনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে জাতীয় পার্টি সহ বাদ পড়েছেন ১৬ জন প্রার্থী। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বগুড়ার ৫, ৬ ও ৭ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই করা হয়।
এর মধ্যে শুধুমাত্র বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনেই ১২ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। তাদের মধ্যে ১১ জন স্বতন্ত্র। একজন জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে জালিয়াতি করে মনোনয়ন দাখিল করেন। এটি 'জিয়া পরিবারের আসন' হিসেবে পরিচিত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ভোটের মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটার সমর্থনের তথ্যে ভুল থাকায় মোস্তাফিজুর রহমান মিলু, মেজবাউল আলম, মানিকুর রহমান, আমজাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আসাফুদ্দৌলা সরকার, নজরুল ইসলাম মিলন, আতাউর রহমান, ছারোয়ার হোসেন, জুলফিকার আলীর প্রার্থীতা বাতিল হয়। আর জহুরুল ইসলাম নামে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ঋণখেলাপের তথ্য না দেয়ায় প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
এই আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি) মনোনীত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও জালিয়াতি করায় রাকিব হাসান নামে একজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। আসনটিতে মোট ১৩ জনের মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
বগুড়া-৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন আট প্রার্থী। যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির রিপোর্টে ঋণসংক্রান্ত তথ্য থাকলেও আসনটির জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওমর ফারুক হলফনামায় তা গোপন করেন। এজন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। একই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আব্দুর নুর শেখের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকারী, সমর্থকের স্থানে তিনি নিজেই স্বাক্ষর করেন।
বগুড়া-৬ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন আটজন প্রার্থী। যাচাইয়ে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। এর মধ্যে সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠুর ঋণ পরিশোধের ছাড়পত্র ছিল না। এছাড়া এক শতাংশ ভোটার সমর্থনের তথ্যে ভুল ছিল।
নয়ন রায় নামে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক শতাংশ সমর্থনযুক্ত ভোটার যাচাইয়ে দশজনের তথ্য ভুল পাওয়া গেছে। এজন্য তার মনোনয়নও বাতিল করা হয়।
এর আগে ৩০ নভেম্বর বগুড়ার সাতটি আসনে ৮৯ জন প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল রোববার বগুড়ার ১, ২, ৩ ও ৪ আসনের মনোনয়ন যাচাইবাছাই করা হয়। সেদিন বাদ পড়েন ১২ জন প্রার্থী। এ নিয়ে বগুড়ার সাতটি আসনে মোট প্রার্থীতা টিকে থাকলো ৬০ জনের। বাতিল হয়েছে ২৮টি। আর বগুড়া-৬ আসনের একজনের প্রার্থীতা স্থগিত রাখা আছে।