বাগেরহাটে ২ বাতি, ১ ফ্যানে চা-দোকানির বিদ্যুৎ বিল এলো ১৪ লাখ টাকা
বাগেরহাটে তাইজুল ইসলাম নামক এক চা-দোকানির বাড়ির এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা।
পরে অবশ্য এ বিল সংশোধন করা হয়েছে। বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) মো. রিপন বিশ্বাস বলেন, 'কম্পিউটার সফটওয়ারের সমস্যার কারণে তাইজুল ইসলামের বিল বেশি এসেছে। বিলটি সংশোধন করে ১৬২ টাকার বিল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।'
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রামের বাসিন্দা তাইজুলের তিনজনের সংসারে কেবল ২টি বাতি ও একটি ফ্যান ব্যবহার হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে দেওয়া বিলের কপিতে দেখা যায়, নভেম্বর মাসের সর্বমোট বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা। নির্দিষ্ট সময় পর বিলম্ব মাশুলসহ পরিশোধ করলে অতিরিক্ত ৬৬ হাজার ৫৭ টাকা দিতে হবে।
ভুক্তভোগী তাইজুল ইসলাম বলেন, 'বিল হাতে পাওয়ার পরে বিকাশে চেক করি, সেখানেও একই অঙ্কের টাকা দেখা যায়। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেন।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের ছোট্ট পরিবার। এত টাকা বিল দেখে আমার ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। তারপরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন বাড়িতে এসে বিল সংশোধনের আশ্বাস দেন।'
এর আগে অক্টোবর মাসে তাইজুলের বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৯৩ টাকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের বিলের এ ধরনের সমস্যা নতুন নয়। অনেক সময় মিটার রিডাররা বাড়িতে না এসেও ইচ্ছেমতো রিডিং বসিয়ে দেন। এছাড়া অনেক মানুষ আছেন যারা পড়াশোনা জানেন না, মিটারের রিডিং দেখে বোঝেন না।'