দেশে পৌঁছাল ২২ হাজার টন জেট ফুয়েল
জরুরিভিত্তিতে উড়োজাহাজের জ্বালানি সংকটের সাময়িক সমাধান হিসেবে আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী পেট্রোচায়না থেকে ২২ হাজার টন জেট ফুয়েল দেশে পৌঁছছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পেট্রোচায়নার কার্গো ২২ হাজার টন জেট ফুয়েলসহ মোট ৩২ হাজার টন জ্বালানি তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিচালক (বিপণন) অনুপম বড়ুয়া দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, '২২ হাজার টন জেট ফুয়েল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এ জ্বালানি খালাস করে বিমান বন্দরগুলোতে সরবরাহ করা হবে।'
বিপিসি'র একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কার্গোটি বন্দরে পৌঁছানোর পরপরই পদ্মা অয়েল কোম্পানি লাইটার জাহাজে জ্বালানি খালাস করা শুরু করেছে। বিপিসি'র পক্ষে বিভিন্ন জেট ফুয়েল ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরগুলোতে সরবরাহ করে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড।
ইতোমধ্যে একটি লাইটার জাহাজে দেড় হাজার টন জেট ফুয়েল খালাস করে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইলের পথে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা নাগাদ লাইটার কার্গো গোদনাইল ডিপোতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এছাড়া আরও দুটি জাহাজে দুই হাজার টন করে জ্বালানি খালাস করা হচ্ছে। রোববারের মধ্যে পুরো কার্গো খালাস হয়ে যাবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বিপিসি'র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন জ্বালানি দিয়ে আগামী ১৫ দিনের চাহিদা মেটানো যাবে।
জ্বালানি বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এর আগে টিবিএসকে বলেন, একাধিক আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তাদের বকেয়া পাওনা না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী জ্বালানি সরবরাহ স্থগিত করলে দেশে জেট ফুয়েলের মজুত হ্রাস পায়।
তিনি জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের জরুরিভিত্তিতে ১০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করার মাধ্যমে নতুন এ চালান আনা হয়েছে।
বিপিসি'র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫টি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ২৯৬ মিলিয়ন ডলার পাওনা বকেয়া পড়েছে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড গত ২৪ ডিসেম্বর এক চিঠিতে বিপিসিকে জানায়, তাদের কাছে মাত্র নয় হাজার ২১ টন জেট ফুয়েল মজুত রয়েছে, যা দিয়ে কেবল ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানো যাবে।
তবে এখন নতুন আমদানির ফলে জেট ফুয়েলের আপাতত আর কোনে সংকট রইল না।