‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট প্রশংসনীয়, তবে ভোটের হার হতাশাজনক: ৪ দেশ-ওআইসি’র পর্যবেক্ষক দল
মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, স্কটল্যান্ড ও গাম্বিয়ার নির্বাচনি পর্যবেক্ষকদের একাধিক দল বাংলাদেশের নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রশংসা করে নির্বাচনের দিনে 'শান্ত ও শান্তিপূর্ণ' ভোটদানের পরিবেশের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
ফিলিস্তিনি পর্যবেক্ষক হিশাম কুহাইল বলেন, 'ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য ভোটদানের পদ্ধতিটি খুবই সাধারণ ও সহজ ছিল। প্রতিটি ভোট দেওয়ায় সময় লেগেছে ১.১৫ থেকে আড়াই সেকেন্ড, যা প্রশংসনীয়ভাবে দক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের।'
রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফিলিস্তিন ও জর্ডান থেকে আগত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেওয়া এ পর্যবেক্ষক।
তিনি বলেন, পুরুষ ও মহিলা উভয় ভোটারের ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব ছিল। 'আপনাদের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে (আপনাদের) গর্বিত হওয়া উচিত,' বলেন এ পর্যবেক্ষক।
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি'র (এসএনপি) রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) মার্টিন ডে বলেন, ভোটের দিন ভোটের হার ছাড়া আর সবকিছুই দারুণ ছিল। 'কম ভোটার উপস্থিতি হতাশাজনক ছিল,' তিনি বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ান পর্যবেক্ষকদের আরেকটি দল পুরো ভোট প্রক্রিয়া ব্যবস্থার প্রশংসা করে বলেন, সবকিছু একটি উচ্চমান বজায় রেখে পরিচালিত হয়েছে। গাম্বিয়ার পর্যবেক্ষকেরাও বাংলাদেশের ভোটের পরিবেশ নিয়ে একই ধরনের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন।
ওআইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রধান শাকির মাহমুদ বান্ডার বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সুসংগঠিত ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পৃথক একটি সংবাদ সম্মেলনে আরব পার্লামেন্টের সদস্য আবদিহাকিম মোয়াল্লিমও ভোটের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন।
তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতির মধ্যে আজ দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের মতে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা ভোটগ্রহণে ভোট পড়ার আনুমানিক হার ৪০ শতাংশ যা চূড়ান্ত ফলাফলের পর কমবেশি হতে পারে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ।
ইসি'র ভোটের এ অনুমান যদি শেষ পর্যন্ত ৪০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশের নিচে থাকে, তাহলে তা ১৯৯৬ সালের বিতর্কিত ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর দেশের নির্বাচনি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ভোটের হার হবে। ওই বছর মাত্র ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।