জিআই সনদ পেল রাজশাহীর মিষ্টি পান, যশোরের খেজুর গুড় ও জামালপুরের নকশিকাঁথা
ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে অনুমোদন পেল আরও ৩ পণ্য। পণ্য তিনটি হলো—যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান ও জামালপুরের নকশিকাঁথা।
এ তিনটি পণ্যকে বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) কোনো পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয়।
নতুন স্বীকৃতি পাওয়া তিন পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টি।
জিআই স্বত্ব হলো কোনো ভৌগোলিক অঞ্চলের কোনো পণ্যকে তাদের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। কোনো পণ্যের উৎপত্তিস্থল যদি ওই ভৌগোলিক অঞ্চল হয়, সে দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখে; সেইসাথে, ভৌগোলিকভাবে ও ঐতিহ্যগতভাবে যে পণ্যগুলোকে 'নিজস্ব' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, তাহলে সেটিকে ওই দেশের 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পণ্যের গুণগত মান, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও খ্যাতির সাথে এর উৎপত্তিস্থলের সরাসরি সম্পর্কের ভিত্তিতে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
একটি পণ্য চেনার জন্য জিআই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো পণ্যের বিস্তারিত না জানলেও খ্যাতির ওপর নির্ভর করেই ভোক্তারা ওই পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
জিআই পণ্যের নিজস্ব পরিচয় বিশ্বব্যাপী এর ব্র্যান্ডিংয়ে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করে। একজন ভোক্তা নিজস্বতাসম্পন্ন যেকোনো পণ্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় এবং তার যথাযথ মূল্য দিতে আগ্রহী হয়। পণ্যের আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য তাকে আগ্রহী করে তোলে। এর ফলে এ ধরণের পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর মাধ্যমে তা সবার কাছে পৌঁছানোর সু্যোগ তৈরি হয়।