প্রতিবাদের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুকুর অপসারণ না করার প্রতিশ্রুতি ডিএসসিসির
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রাণিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর প্রতিবাদের মুখে ক্যাম্পাস থেকে কুকুর অপসারণ না করার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
প্রাণিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার টিম অব ঢাকা ইউনিভার্সিটির দাবি- গত কয়েকদিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি কুকুর অপসারণ করেছে ডিএসসিসি।
তবে ডিএসসিসি বলছে, গত দুই মাসে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনও কুকুর অপসারণ করেনি।
ক্যাম্পাস থেকে কুকুর অপসারণ করা হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটির অন্তত ২০ জন সদস্য গতকাল মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ ফজলে শামসুল কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা ক্যাম্পাস এলাকা দেখে কুকুর অপসারণ না করার দাবি জানান।
একইসঙ্গে সংগঠনটির সদস্যরা ঢাকা দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধনও করেন।
সংগঠনটির ক্যাম্পাস লিডার তাসনিম মেহজাবিন তাহনা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে আমাদের দাবি জানিয়েছে। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন যে সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ১১টি কুকুর অপসারণ করা হয়েছে। তবে সেগুলো কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কোনও তথ্য তিনি দেননি।'
তবে কুকুর অপসারণের বিষয়টি অস্বীকার ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ফজলে শামসুল কবির টিবিএসকে বলেন, 'আমরা গত আড়াই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কুকুর অপসারণ করিনি। আর আমরা কোনো কুকুর অপসারণ কিংবা নিধন করি না। আমরা কুকুরগুলোকে বন্ধ্যাত্বকরণ করি। আমাদের নিজস্ব জায়গা আছে বন্ধ্যাত্বকরণের। এ প্রক্রিয়া শেষে আবার কুকুরগুলোকে ওই এলাকাতেই ছেড়ে দিয়ে আসা হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আমাদের বিভিন্ন সময় কুকুর অপসারণের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ না দিলে আমরা কুকুর আনব না।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংগঠনটি ক্যাম্পাসে প্রায় দেড়শ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৫০টি কুকুরকে প্রতিদিন খাবার দেয় ও দেখাশোনা করে থাকে।
সংগঠনটির সদস্যসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, গত কয়েকদিনে মধ্যরাতের পরে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা ক্যাম্পাস এলাকা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে অন্তত ২০টি কুকুর ধরে নিয়ে গেছে। পরবর্তীকালে সে কুকুরগুলোকে আর ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই সংগঠনটি ছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের কিছু সংগঠন ঐ এলাকার কুকুরগুলোকে নিয়মিত খাবার দেয় ও পরিচর্যা করে। তারা কুকুরগুলোকে নিয়মিত ভ্যাক্সিনও দিয়ে থাকে।