এক্সপ্রেসওয়ে ও সংলগ্ন সড়কে গাড়ির দীর্ঘ সারি, ঘরমুখী মানুষের রাস্তায় ইফতার
ইফতারের আর মাত্র কয়েক মিনিট সময় বাকি, অথচ রাস্তায় গাড়ি একটুও নড়ছে না। আর কোনো উপায় না পেয়ে বনানী ডিওএইচএসের বাসিন্দা তারিবা রাস্তায় ইফতার করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বলেন, 'বিকাল ৪টায় ইস্কাটন থেকে বনানী ডিওএইচএসের উদ্দেশে যাত্রা করি। সাধারণত রমজান মাসের অন্যান্য দিনে বাসায় পৌঁছাতে আমার প্রায় এক ঘণ্টা সময় লাগে। কিন্তু আজকে দুই ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, এখনও তেজগাঁওয়ে আটকে আছি, বনানীর কাছাকাছিও যেতে পারিনি।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলামও ইফতারের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যানজটে আটকে ছিলেন। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে মেট্রোরেলে চেপে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, 'মেট্রোর কামরার ভিতরে প্রচণ্ড ভিড় ছিল এবং স্টেশনগুলো ভিড়ে ঠাসা ছিল। বনানীতে থাকি বলে বিজয় সরণি স্টেশনে নেমে পাবলিক বাসে উঠি। বিকাল ৫টা ৫২ মিনিটে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছি।'
মহাখালী ট্র্যাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আরিফুল ইসলাম রনি বলেন, তিন দিনের সাপ্তাহিক ছুটির পর আজ প্রথম কর্মদিবস ছিল।
তিনি বলেন, 'সাধারণত ইফতারের আগে শেষ সময়ে মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য হুড়োহুড়ি করে। আজ, ট্র্যাফিক এত বেশি যে এক্সপ্রেসওয়েতেও দীর্ঘ যানজট দেখা যায়, যেখানে সাধারণত কোনো যানজট থাকে না।'
গুলশানের বাসিন্দা নাসিফ ইস্কাটন থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। যথারীতি এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দ্রুত বাড়ি ফেরার আশায় রওনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'বিকাল ৪টার দিকে নিউ ইস্কাটন রোড থেকে রওনা দিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারি।'
নাসিফ বলেন, 'আমরা কাছাকাছি যেতেই এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশপথে দীর্ঘ যানজট দেখতে পাচ্ছিলাম।'
তিনি জানান, তার গন্তব্য ছিল গুলশান ২, তবে সামনে আরও বেশি যানজট দেখে তিনি বনানী পর্যন্ত এসে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন এবং হেঁটেই বাড়ি ফেরেন।