বরগুনায় সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে, একই পরিবারের ৭ জনসহ নিহত ৯
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া সেতু ভেঙে বিয়ের যাত্রীসহ একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা খালে পড়ে গেলে নারী-শিশুসহ অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য। অপর দুজনও মা-মেয়ে।
নিহতদের সাতজন মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকার সাবেক সেনা সদস্য মাহাবুবর রহমান সবুজের পরিবারের সদস্য। অপর দুজন আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া এলাকার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও কন্যা।
নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), শাশুড়ি রুমি বেগম (৪০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০)।
বাকি নিহত দুজন আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়ার জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং কন্যা রিদি (৫)।
শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরপক্ষের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পানিতে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় হতাহতের কথা নিশ্চিত করেছেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান (মিন্টু মল্লিক)।
ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় প্রশাসন এবং বাসিন্দারা খালে ডুবে যাওয়া গাড়ি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করেন।
উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের প্রথমে আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীসময়ে লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য শিবচরের নিহত সাতজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আমতলীর দুজনকে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক বিষয় তদারকি করছি।
ময়নাতদন্তের পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'নিহতদের পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।'