মতিউর ও তাঁর পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে সরকারি দপ্তরে দুদকের চিঠি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মতিউরের বিষয়ে তদন্ত শুরুর পরে এসব তথ্য চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ রোববার (৩০ জুন) সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছে দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
দুদক সূত্র জানায়, মতিউর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে এনবিআর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), নিবন্ধন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক।
ঈদুল আজহার আগে সাদিক অ্যাগ্রোতে ১৫ লাখ টাকার একটি ছাগল বুকিং দিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। পরে জানা যায়, তার বাবা এনবিআর সদস্য মতিউর রহমান। তখন মতিউর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিপুল সম্পদের তথ্যও সামনে আসতে শুরু করে।
এর আগে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা– বিএফআইইউ গত ২৫ জুন মতিউর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মুঠোফোনে আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয়।
দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর এ পদক্ষেপ নেয় সংস্থাটি।
সরকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর স্বজনদের নামে অন্তত ৬৫ বিঘা (২ হাজার ১৪৫ শতাংশ) জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে।
তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, যশোর ও নাটোরে মোট ৮৪৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ (২৫ দশমিক ৭০ বিঘা) জমি রয়েছে। কেবল ঢাকাতেই তাঁর নামে অন্তত চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর বিবরণীতে লায়লা কানিজ তাঁর মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১০ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম বলেছেন, মতিউর রহমান, লায়লা কানিজ, তাঁর ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ জন্য ২৪ জুন তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করে দুদক। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে আজ মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।