‘ছাগলকাণ্ডের’ মতিউরের চার ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দের নির্দেশ আদালতের
'ছাগলকাণ্ডে' আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতাংশ জমি জব্দ করার (ক্রোক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ সালাম টিবিএসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জব্দ করা চারটি ফ্ল্যাটের মধ্যে মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে বসুন্ধরায় তিনটি ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর নামে জিগাতলায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
জব্দ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে মতিউরের নামে ১১৪ শতাংশ জমি, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে ৫২২ শতাংশ জমি ও ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে ২৭৫ শতাংশ জমি রয়েছে। এছাড়া মেয়ে ফারজানা রহমান ঈস্পিতার নামে বসুন্ধরায় ৫ কাঠার প্লট এবং শাম্মী আখতার শিভলীর নামেও ৫ কাঠা প্লট রয়েছে।
এবার ঈদুল আজহার সময় এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সূত্র ধরেই মতিউরের বিপুল সম্পদের বিষয়টি সামনে আসে।
এরপর থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, পার্ক, বিলাসবহুল বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ আছে মতিউরের।
এ ঘটনার পর মতিউর, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।