জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে ‘শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক হত্যার বিচার দাবি’ ৭৪ বিশিষ্ট নাগরিকের
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে 'কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও নাগরিক হত্যার' বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ৭৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
তারা সুষ্ঠু তদন্ত, পুলিশের পদক্ষেপের জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য চিকিৎসা সেবা এবং গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, ইফতেখারুজ্জামান, ডা. হামিদা হোসেন, খুশী কবির, রাশেদা কে চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
নিচে বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক হত্যার বিচার দাবী বিক্ষুদ্ধ নাগরিকদের বিবৃতি
'গভীরতম বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে আমরা লক্ষ্য করছি যে, কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গত ১৬ জুলাই থেকে পুলিশসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী এবং তাদের পাশাপাশি সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল মন্ত্রীর প্ররোচনায় তাদের আর্শীবাদপুষ্ট ছাত্র সংগঠনের সহিংস কর্মীরা নজীরবিহীন দমন পীড়নের তান্ডব চালিয়েছে। শুরু থেকেই সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অরাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলনকে সরকার দল যেমন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করতে চেয়েছে, তাদের বিরোধী পক্ষও তেমনি ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতির নামে একে নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের জন্য ব্যবহার করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা ছাত্র-জনতা হত্যা ও জনগণের সম্পত্তি বিনষ্টের নাশকতার পেছনে যে কোন ধরনের অপরাজনীতির নিন্দা করছি। সরকারের বল প্রয়োগে কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, হাজার হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন কলেজ ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় হতাহতের মধ্যে কয়েকজন আইন-শৃঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। হতাহতের তালিকায় সংবাদকর্মীরাও আছেন।
'আমরা বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন একারণে যে, আমাদের আশংকা, সরকারি বাহিনী ও সরকারি দলের সংগঠনগুলোর আক্রমনে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক ব্যাপক, অনেক ভয়াবহ - যা ইন্টারনেট ও গণমাধ্যমের উপর সরকারের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে আমরা জানতে পারছি না। এত অল্পসময়ে কোন একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এমন বিপুল সংখ্যক হতাহতের নজির গত একশ' বছরের ইতিহাসে (মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ বাদ দিলে) আমাদের দেশে তো বটেই এই উপমহাদেশেও মিলবে না।
'এমন হত্যাকান্ডের নিন্দা বা ধিক্কার ও প্রতিবাদের উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই। এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের। সাংবিধানিক শপথ এবং আইন উপেক্ষা করে একাধিক মন্ত্রী যেভাবে চরম দায়িত্বহীন ভাষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর তাদের সমর্থক ছাত্রদের ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানালেন তাতে সারা দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশের জনগণ ও দেশের শুভকাঙ্খীরা স্তম্ভিত, গভীরভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত হয়েছেন।
'আমরা গভীর মর্মবেদনার সাথে এও লক্ষ্য করেছি যে, দেশের বেসামরিক নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের জন্য জাতিসংঘের লোগো সম্বলিত সাঁজোয়া যান রাস্তায় নামানো হয়েছিল, সেনাবাহিনী ও সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়োজিত করা হয়েছিল, কার্ফ্যু জারি করে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও অভিযোগমতে গুলি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজীরবিহীন।
'এই আন্দোলন চলাকালে নাশকতামূলক তৎপরতার কারণে বেশ কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা কোন ভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। সুুষ্ঠুু, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই সব নাশকতার জন্য যারা দায়ী তাদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তির দাবি আমরা জানাচ্ছি। তবে এই অজুহাতে ভিন্নমতের কাউকে দমন-পীড়ন বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি কোনভাবেই সমর্থনীয় না। নাশকতার ঘটনার সময় তা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা সরকার নেয়নি এবং সরকারী বাহিনীগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের এই ভূমিকার রহস্য উদঘাটন এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা জরুরি।
'আমরা অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ যে, প্রানহানি, ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলিবর্ষণের কোন তদন্ত না করে পুলিশ শুধুমাত্র নাশকতার মামলা দায়ের করে হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা লোককে আসামি করেছে, কয়েক হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে অসংখ্য নিরীহ নাগরিক, শিক্ষার্থী কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক, কর্মীদের কয়েকজনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও নিপীড়নমূলক। গণমাধ্যম থেকে এও জানা গেছে যে এলাকা ভাগ করে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনী 'ব্লক রেইড' ও নির্বিচার গ্রেফতার করে জনমনে, পরিবারসমূহে এবং তরুণ সমাজের মনে সীমাহীন ভীতি ও ত্রাসের সঞ্চার করেছে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠার বদলে আরো জটিল ও অশান্ত করে তোলার ইন্ধন যোগাবে বলে আমাদের আশংকা।
'এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে, আমরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ ও শিক্ষামুখী রাখতে নিম্নোক্ত দাবিগুলি সরকারের কাছে তুলে ধরছি। একই সাথে দেশবাসীকেও কঠিন আত্মপ্রত্যয়ে দলমতের উর্ধ্বে উঠে সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানাচ্ছি।
'১. কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য বাহিনী কিংবা সরকারের মদদপুষ্ট বেসরকারি অস্ত্রধারীদের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থী, শান্তিপ্রিয় নাগরিক, কিশোর-কিশোরী এমনকি শিশু নিহত, নির্যাতিত ও আহত হওয়ার প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হতে হবে। স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে এই তদন্ত করার স্বার্থে এটি জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দলের তত্ত্বাবধানে হওয়া জরুরী, আমরা তাই জাতিসংঘকে এলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। প্রকৃত দোষী যেই হোক, যত উচ্চ পদাধিকারী কিংবা যে কোন দলমতের হোক তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
'২. এই মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ফলে যারা নিহত, গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের প্রতি জাতির সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ মর্যাদায় শোক পালনের ঘোষণা দিতে হবে। এই ঘটনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত কত লোক, শিক্ষার্থী, কিশোর-কিশোরী নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা, নাম পরিচয় সরকারকে অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।
'৩. মানুষের জীবন অমূল্য, কোন কিছুতে এর ক্ষতিপূরণ হয় না। তারপরও এই সরকারের দায় মেনে নিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তাদের সুচিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। যারা চোখ, হাত, পা হারিয়েছে তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
'৪. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক, সংগঠক, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সকল সাধারণ নাগরিকদের পুলিশ সাজানো অভিযোগে আটক ও গ্রেফতার করার যে বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে আমরা তাতে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ কাউকে কাউকে আটক করে যে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছে তা সংবিধানের লংঘন ও ফৌজদারী অপরাধ সমতুল্য। এসব অশুভ তৎপরতা বন্ধ করে, গনরুম ও টর্চার সেল কেন্দ্রিক নির্যাতনের অবসান ঘটানোর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে এবং শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নির্বিচার গ্রেফতার, আটক ও আটক রেখে বিবৃতি আদায়, দমন-পীড়ন, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, পুলিশ ও র্যাবের লাগামহীন হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
'৫. স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কারফিউ তুলে নিতে হবে, দেশের ছাত্র-জনতাকে দমন-পীড়ন কিংবা ভয়-ভীতি প্রদর্শনের জন্য যে সকল সাজোয়া যান, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম রাস্তায় নামানো হয়েছে, অবিলম্বে তা স্ব স্ব স্থানে ফেরৎ নিয়ে যেতে হবে, অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটের উপর সকল সরকারি নিয়ন্ত্রণের অবসান করতে হবে এবং ভিন্নমতের মানুষকে হয়রানি ও তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে।
'পরিশেষে, বিগত দিনগুলিতে পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর সহিংস আক্রমণে যে শত শত ছাত্র-জনতা নিহত, আহত ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদের স্মরণে, তাদের প্রতি সহমর্মিতা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্য একটি জাতীয় নাগরিক শোক সভা আয়োজনের জন্য আমরা দেশের সকল বিশিষ্ট ও দায়িত্বশীল নাগরিকদের প্রতি বিশেষভাবে আহবান জানাচ্ছি।
'বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন:
'১) সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী; ২) ড. হামিদা হোসেন, মানবাধিকার কর্মী; ৩) খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী; ৪) ড. শাহদীন মালিক, আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ; ৫) রাশেদা কে. চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী; ৬) ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ; ৭) ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, অর্থনীতিবিদ; ৮) অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অর্থনীতিবিদ; ৯) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, অর্থনীতিবিদ; ১০) ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক; ১১) অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না; ১২) ড. ইফতেখারুজ্জামান, মানবাধিকার কর্মী; ১৩) ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক; ১৪) শিরিন হক, নারী অধিকার কর্মী; ১৫) অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; ১৬) শামসুল হুদা, মানবাধিকার ও ভূমি অধিকার কর্মী; ১৭) ড. বদিউল আলম মজুমদার, গবেষক ও পর্যবেক্ষক; ১৮) ব্যারিস্টার সারা হোসেন; ১৯) অধ্যাপক পারভীন হাসান; ২০) অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন; ২১) অধ্যাপক মো: তানজিমউদ্দিন খান; ২২) অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের; ২৩) অধ্যাপক মুশতাক এইচ খান; ২৪) অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা; ২৫) অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম; ২৬) অধ্যাপক বীনা ডি কস্তা; ২৭) অধ্যাপক শাহনাজ হুদা; ২৮) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস; ২৯) অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস; ৩০) অধ্যাপক ড. নোভা আহমেদ; ৩১) অধ্যাপক ড. নাভীদা খান; ৩২) ড. স্বপন আদনান, শিক্ষাবিদ; ৩৩) দীনা সিদ্দিকী, শিক্ষাবিদ; ৩৪) ড. নাসরিন খন্দকার, পোস্টডক্টরাল রিসার্চার; ৩৫) ড. সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৬) ফারহা তানজিন তিতিল, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৭) মাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৮) ড. রিজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা, সহযোগী অধ্যাপক; ৩৯) মো: সাইমুম রেজা তালুকদার, জেষ্ঠ্য প্রভাষক; ৪০) সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট; ৪১) তবারক হোসেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট; ৪২) ব্যারিস্টার শুভ্র চক্রবর্তী, মানবাধিকারকর্মী; ৪৩) ড. শরীফ ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট; ৪৪) অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান; ৪৫) অ্যাডভোকেট প্রিয়া হাসান চৌধুরী; ৪৪) অ্যাডভোকেট শারমিন খান; ৪৬) নাসের বখতিয়ার, সাবেক ব্যাংকার; ৪৭) আবু সাঈদ খান, সাংবাদিক; ৪৮) সাঈদা গুলরুখ, সাংবাদিক; ৪৯) সালিম সামাদ, সাংবাদিক ও মিডিয়া অধিকার কর্মী; ৫০) শারমিন মুরশিদ, মানবাধিকারকর্মী ও পর্যবেক্ষক; ৫১) ফস্টিনা পেরেইরা, মানবাধিকারকর্মী; ৫২) ড. রুশাদ ফরিদী, মানবাধিকার কর্মী; ৫৩) রেজাউল করিম লেলিন, গবেষক ও অধিকার কর্মী; ৫৪) নুর খান, মানবাধিকারকর্মী; ৫৫) রেজাউল করিম চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী; ৫৬) সাদাফ নুর, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী; ৫৭) ড. তাসনিম সিরাজ মাহাবুব, মানবাধিকার কর্মী; ৫৮) ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী ও সমাজকর্মী; ৫৯) রেহেনুমা আহমেদ, লেখক ও গবেষক; ৬০) আলতাফ পারভেজ, লেখক ও গবেষক; ৬১) আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি ও লেখক; ৬২) জাকির হোসেন, মানবাধিকার কর্মী; ৬৩) মাহিন সুলতানা, মানবাধিকার কর্মী; ৬৪) রোজিনা বেগম, গবেষক ও অধিকারকর্মী; ৬৫) বারিশ হাসান চৌধুরী, গবেষক; ৬৬) রেজওয়ান ইসলাম, গবেষক ও অধিকারকর্মী; ৬৭) জাহানারা খাতুন, মানবাধিকার কর্মী; ৬৮) ফজিলা বানু লিলি, অধিকার কর্মী; ৬৯) আরিফা হাফিজ, মানবাধিকার কর্মী; ৭০) ইশরাত জাহান প্রাচী, অধিকার কর্মী; ৭১) দীপায়ন খীসা, মানবাধিকার কর্মী; ৭২) হানা শামস আহমেদ, আদিবাসী অধিকারকর্মী; ৭৩) মুক্তশ্রী চাকমা, নারী অধিকারকর্মী এবং ৭৪) অরূপ রাহী, সাংস্কৃতিক কর্মী।'