চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ শিক্ষকের ৫ দফা দাবি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলি ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক ঐক্য।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৭৫ জন শিক্ষক এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও দাবি তুলে ধরেন।
বিবৃতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে যৌক্তিক ও অরাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটিতে আন্দোলনকে দমন করার জন্য 'ছাত্রদের হত্যা, গুম ও গ্রেপ্তার করার সরকারি পদক্ষেপের' নিন্দা করে এসব ঘটনাকে 'খুবই দুঃখজনক, অযৌক্তিক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত' বলে অভিহিত করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বিবৃতিতে আন্দোলনে ২৬৬ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন উল্লেখ করা হয়েছে এবং ছাত্র সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নৃশংস দমন-পীড়ন আড়াল করার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়েছে।
শিক্ষকেরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে এ পরিস্থিতিকে দেশ স্বাধীনের পর এ প্রথম এমন বর্বর দৃষ্টান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন।
চবি শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি
- এরই মধ্যে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা;
- অনতিবিলম্বে গণগ্রেপ্তার ও অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করা;
- গ্রেপ্তার আন্দোলনকারীদের শিগগিরই মুক্তি দেওয়া, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের হয়রানি বন্ধ করা;
- বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করা, হলগুলো থেকে অ-ছাত্র ও বহিরাগতদের বহিষ্কার করে মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টনের মাধ্যমে হল খুলে দেওয়া;
- অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া।
বিবৃতি দেওয়া শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী (ইন্সটিটিউট অব মেরিন সায়েন্স), অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসেন (হিসাব বিজ্ঞান), ড. মো.শহিদুল হক (যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ), অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আফজাল হোসেন (মনোবিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. মীর হোসেন সোহেল (মার্কেটিং বিভাগ), অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সারওয়ার্দী (মার্কেটিং বিভাগ) এবং অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং)।