মন্ত্রণালয় প্রধানের অনুপস্থিতিতে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে
রেল মন্ত্রনালয়ের প্রধান রেলমন্ত্রী। তিনি না থাকায় অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পরেছে রেল। তাই অনিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এ ব্যপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী টিবিএসকে বলেন, 'আমি আজ অফিসে এসেছি। কিন্তু রেল চলাচলের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেব বুঝতে পারছি না। মন্ত্রী যেহেতু নেই তাহলে কে সিদ্ধান্ত দেবে? আমি একা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।'
তিনি বলেন, 'সচিব আসলে তার সাথে বসব। তার সাথে বসে দেখা যাক ট্রেন চলাচলের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যায় কিনা তা দেখছি। পুরোপুরি না হলেও সীমিত আকারে রেল চলাচল চালু করার কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।'
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার আলম রাজন-এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, 'মন্ত্রী মা থাকায় অফিস কিভাবে চলবে তা এখনও জানি না। আজ আমরা অফিস করছি না। আসলে নিরাপত্তার জন্য আজকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে কাল থেকে হয়ত নিয়মিত অফিস করব।'
কোটাসংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৮ জুলাই ঢাকার মহাখালী রেলক্রসিং অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। তখন থেকেই বন্ধ রাখা হয় স্বাভাবিক রেল যোগাযোগ। কর্তৃপক্ষের মতে, আন্দোলন ও সহিংসতার সময় সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২৪ জুলাই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে সেদিন রাতে কর্তৃপক্ষ পরদিন অর্থাৎ ২৫ জুলাই থেকে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসে।
পরবর্তীতে কারফিউ শিথিল সময়ে সীমিত পরিসরে ১ আগস্ট থেকে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় করার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।