ভারত থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি শেখ হাসিনা: জয়
ভারত থেকে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই শেখ হাসিনার। গতকাল জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বাংলাদেশে ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করেই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত একদিন আগেই নিয়েছেন, কিন্তু তা ঘোষণা করা হয়নি।
জয় বলেন, "তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একদিন আগে৷ আমরা কয়েকজন শুধুমাত্র জানতাম যে তিনি ঘোষণা দেবেন, তিনি পদত্যাগ করছেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটি ট্রানজিশন অব পাওয়ার হয় সেটাই ছিল ওনার প্ল্যান৷ তবে যখন আন্দোলনকারীরা গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করলো৷ তখন আমরা ভয়ে বললাম যে, আর সময় নেই৷ তোমার এখনই বেরিয়ে যেতে হবে৷"
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ডাকা কোটা সংস্কার আন্দোলন এক পর্যায়ে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী, শিশুসহ কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়। শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলনকারীদের দমনে বাড়াবাড়ি রকম শক্তি প্রয়োগ করে। যার কারণে আন্দোলন আরো তীব্র হয় এবং শেখ হাসিনা তার বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জয় বলেন, "বর্তমানে আমার রাজনীতিতে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। তৃতীয়বারের মতো আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে ক্যু হলো। তৃতীয়বারের মতো সবকিছু হারিয়ে বিদেশে থাকতে হলো। আমি আর আমার মা বাদে আমরা সবাই বিদেশে অনেকদিন ধরে আছি। আমরা এখানে সেটেলড। আমাদের এখানে জীবনের কোনো অসুবিধা নেই। আমরা এখানে থাকতে অভ্যস্ত।"
শেখ হাসিনা ভারত থেকে অন্য কোথাও যাবেন এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা ভালো আছেন, এখন দিল্লিতে আছেন। আমার বোন ওনার কাছে আছেন। আমার বোনতো দিল্লিতে থাকেন। তিনি ভালো আছেন, তবে তার খুবই মন খারাপ।"
জয় আরো বলেন, "শেখ হাসিনা খুবই দুঃখিত যে দেশের জন্য তার বাবা প্রাণ দিয়েছেন, পুরো পরিবার প্রাণ হারিয়েছে। যেই দেশের জন্য তিনি জেল খেটেছেন, এত পরিশ্রম করেছেন, এত উন্নয়ন করেছেন, সেই দেশের মানুষ তাকে এভাবে অপমান করে বের করে দেবে, তার উপর আক্রমণ করতে যাবে, এটা আমরা কেউ কল্পনা করতে পারিনি।"