মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান কি বিমানবন্দরে আটক?
গতকাল চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এমন গুজবের মধ্যে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাকে কোনো ফ্লাইটে যেতে দেখা যায়নি।
ঢাকা বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা আজ (৭ আগস্ট) সকালে টিবিএসকে বলেন, মেজর জিয়া পালানোর চেষ্টা করছেন, এমন সন্দেহে গতকাল এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি চালানো হয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিমানটি উড্ডয়নের আগেই থামিয়ে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই ফ্লাইটে মেজর জিয়াকে পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।
যদিও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) শীর্ষ পদগুলোতে বড় রদবদল আনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এতে মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশপাশি আরও কয়েকজনকে পুনরায় নিযুক্ত করা হয় বলে জানানো হয়েছে আইএসপিআরের প্রেস বিবৃতিতে।
জিয়াউল আহসান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন দুই-তারকা (টু স্টার) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তিনি ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক ছিলেন।
মেজর জেনারেল এএসএম রিদওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসি মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি জিয়াউল আহসানের স্থলাভিষিক্ত হন।
মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২০২২ সাল থেকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে তিনি ওই কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।
জিয়াউল আহসান মেজর থাকাকালীন ২০০৯ সালে র্যাব-২ এর সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান।
একই বছর তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক নিযুক্ত হন।