চট্টগ্রামে ১৬টির মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু
চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি থানায় হামলার ঘটনায় তিন দিন বন্ধ থাকার পর, আবারও নগরীর থানাগুলো খুলতে শুরু করেছে; সীমিত আকারে শুরু হয়েছে কার্যক্রম।
নগরীর ১৬টি থানার মধ্যে ১১টি ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর সহায়তায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করেছে।
আজ (১০ আগস্ট) থেকে আরও চারটি থানার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকালিয়া, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, কর্ণফুলী, বন্দরসহ ১১টি থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে।
হালিশহর, ডাবলমুরিং এবং কোতোয়ালি থানাও আজ (১০ আগস্ট) থেকে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করবে।
এছাড়া, ইপিজেড থানার নিউমুরিং ফাঁড়ি থেকে সীমিত পরিসরে কাজ শুরু হবে বলেও জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করতে নতুন ভবনের খোঁজ চলছে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরীর ১৬টি থানায় ইতোমধ্যেই পুলিশ ফিরেছে।
তিনি বলেন, "যে স্টেশনগুলো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেগুলোতে ফের কাজ শুরু হয়েছে। তবে, উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া স্টেশনগুলোতে এখনও পরিষ্কার ও মেরামতের কাজ চলছে। এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলোতে সীমিত আকারে কাজ শুরু হয়েছে। পুরোপুরি কাজ শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।"
পতেঙ্গা থানার বিষয়ে তিনি বলেন, "এটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, তাই কর্তৃপক্ষ এই স্টেশনের কার্যক্রম চালু করতে নতুন ভবন চাইছে।"
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশজুড়ে অস্থিরতার মাঝে চট্টগ্রামের অন্তত ৮টি থানায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ব্যারাকে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যরা এ সময়ে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।