প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও বাংলাদেশ সচিবালয়ের আশপাশে সোমবার (২৬ আগস্ট) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) ডিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার মইনুল হাসান।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অরডিন্যান্স (অরডিন্যান্স নম্বর-৩/৭৬)-এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৬ আগস্ট (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশপাশের এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
রোববার রাতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরপরই এ নোটিশ এল।
গতকাল চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত আনসার সদস্যরা সরকারি কর্মকর্তা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমদের সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আনসারদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও তাকে এবং অন্যদের সচিবালয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
হাসনাতের ফেসবুক পোস্টের পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে সেখান থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যান।
রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা সচিবালয় এলাকায় জড়ো হতে শুরু করলে আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আনসার সদস্যরা বেধড়ক মারধর করেছেন বলে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন।
রাত ১০টার দিকে দোয়েল চত্বর থেকে সচিবালয় পর্যন্ত অবস্থান নেয় হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
সচিবালয়ের সামনের রাস্তা তখন শিক্ষার্থীদের দখলে চলে যায়।
সংঘর্ষের ৩০ মিনিটের মধ্যে সকল আনসার সদস্য পালিয়ে যায়।