ভোজ্যতেল ও চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান বাণিজ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ভোজ্যতেল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ শৃঙ্খলকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল (২৭ আগস্ট) রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে দেশের ছয়টি প্রধান ভোজ্যতেল ও চিনি শোধনাগারের মালিক ও প্রতিনিধিরা বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের দেশে সব ধরনের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে ভোজ্যতেল এবং চিনির চাহিদা প্রচুর। বর্তমান সরকার এই ধরনের পণ্যসরবরাহের শৃঙ্খলকে সচল ও স্বাভাবিক রাখতে চায় এবং যৌক্তিক মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সমর্থন চাই।
ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও এলসি মার্জিন কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো যাবে না।
তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের অসাধুতার চর্চা কমিয়ে আনতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন, প্রতি কেজি চিনিতে ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাবদ ৪২ টাকা দিতে হয়, যা একেবারেই অযৌক্তিক এবং পৃথিবীর কোনো দেশে এ ব্যবস্থা নেই।
তারা বিদ্যমান কর ও ভ্যাট কাঠামো পুনর্গঠনেরও দাবি জানান।
প্রধান ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধনকারী সংস্থাগুলো দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর বর্তমান চাহিদা এবং মজুদ সম্পর্কে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে অবহিত করে।
বৈঠকে দেশবন্ধু গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টি কে গ্রুপ ও সিটি গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।