শিল্প এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা জড়িত: আসিফ
শিল্প এলাকায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, পোশাক শিল্প কারখানা এলাকায় যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তার পেছনে রয়েছে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের দ্বন্দ্ব। এতে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা জড়িত। যারাই শিল্প এলাকাসহ অন্যান্য জায়গায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, পোশাক শিল্প এলাকায় যেসব লোকেরা অস্থিরতা করছে তারা প্রকৃত শ্রমিক নয়। আমরা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে, মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। বেশিরভাগ বহিরাগত। এদের মধ্যে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ আছে, বিএনপিও আছে। ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী এসব করছে। এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে বিএনপি তাদের স্থানীয় কর্মীদের এধরনের কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত করে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া কয়েকটি কারখানায় বেতন-ভাতা সময় মত না দেওয়ার কারণে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি কারখানার মালিক পালিয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সময়মতো বেতন-ভাতার পরিশোধের ব্যাপারে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। একটি তহবিল চালু করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আমার কাছে এ রকম কোনো কিছু নেই যে আমি একদিনে পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নতি করে ফেলব। পুলিশের ভাবমূর্তি বাড়াতে সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশের ইমেজ আস্তে-আস্তে কিন্তু উন্নত হচ্ছে। এটা আস্তে আস্তে হবে।
তিনি আরও বলেন, অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি একদিনে নষ্ট হয়নি, একদিনে ঠিকও হবে না। এটা ট্যাবলেট খাইয়ে ঠিক করার মতো বিষয় নয়। এটা পুলিশের পক্ষ থেকে করতে হবে। সরকার থেকে পুলিশকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।