চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে হাতির আক্রমণে বৃদ্ধ নিহত
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় বন্য হাতির আক্রমণে মোহাম্মদ সাঈদ (৫৭) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানোর পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
বড়উথান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম হামলার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তিনি কাজের জন্য পাশের বাড়িতে যাওয়ার পথে হঠাৎ বন্য হাতির মুখোমুখি হন। পালানোর চেষ্টা সত্ত্বেও সে পড়ে যায় এবং হাতিটি তাকে পদদলিত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একই এলাকায় দ্বিতীয়বারের মতো হাতির আক্রমণের ঘটনা ঘটল। গত শনিবার কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) গল্ফ কোর্সে একটি হাতির আক্রমণে একজন কোরিয়ান বিনিয়োগকারী গুরুতর আহত হন।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে চেয়ারম্যান দিদারুল আলম বলেন, "বারবার হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন ও বন বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আবার ঘুমিয়ে যায়।"
চট্টগ্রাম বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্নিতা ভট্টাচার্য বলেন, "কর্ণফুলী, আনোয়ারা এবং বাঁশখালীর মতো এলাকাগুলি হাতির আক্রমণের জন্য ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রাথমিকভাবে বনে খাদ্যের অভাবের কারণে হাতিরা খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "বনাঞ্চলে মানুষের আগ্রাসন, গাছ কাটা এবং বাড়িঘর নির্মাণ বন্য প্রাণীদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস করেছে। হাতিদের স্থানান্তরিত করা বিকল্প সমাধান নয় কারণ কর্ণফুলী, আনোয়ারা এবং বাঁশখালীর বন এই হাতিদের জন্য ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য আবাসস্থল।"