আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন, ১০ সদস্য নিয়োগ
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্তের জন্য ১০ সদস্যকে নিয়োগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করেছে সরকার। এদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে বলে আশা প্রকাশ করার তিন দিন পরই এই অগ্রগতি হল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ এর ৮(১) ধারায় রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিয়ে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
আইসিটি আইনের ৩ ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলো তদন্ত করবে সংস্থাটি।
এতে বলা হয়েছে, কো-অর্ডিনেটর পদে অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. মাজহারুল হক এবং কো-কোঅর্ডিনেটর পদে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ শহিদুল্লাহ চৌধুরীকে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হলো।
তদন্ত সংস্থার বাকি সদস্যরা হলেন- অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহা. মনিরুল ইসলাম, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জানে আলম খান, ঢাকা ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ আব্দুর রউফ, সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ইউনুছ, রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মাসুদ পারভেজ, রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আলমগীর সরকার, সিআইডি ঢাকা মেট্রো (উত্তর) শাখার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মশিউর রহমান।
পরিপত্রে বলা হয়, আইসিটি অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর অধীনে বিচার পরিচালনায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমকে তদন্ত ও সহযোগিতার জন্য আইসিটি তদন্ত কমিটির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, জুলাই-আগস্টের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বিগত সরকারের নির্দেশে পরিচালিত গণহত্যার প্রকৃত তথ্য চেয়ে দেশের সব মিডিয়া হাউস, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) কাছে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'জুলাই-আগস্ট গণহত্যার তথ্য সংগ্রহের জন্য আমরা হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেছি। তথ্য চেয়ে বিভিন্ন কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছেও চিঠি দেওয়া হচ্ছে। গণহত্যা সম্পর্কিত সব সঠিক তথ্য সংগ্রহ না করা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।'