‘গণহত্যাকারী’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা নয়: আইন উপদেষ্টা
রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় 'গণহত্যাকারী' আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেছেন, `সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা গণহত্যাকারী ছিল, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, প্রায় এক হাজার মানুষ হত্যা করেছে, আরও অনেক মানুষকে গুরুতর আহত করেছে, চক্ষুহীন করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না।'
তিনি আরও বলেন, `তাদের (গণহত্যাকারীদের) বাদে সমাজের যত প্রতিনিধিত্বকারী শ্রেণি আছে, রাজনৈতিক দল আছে, সামাজিক, পেশাজীবী, ছাত্র সংগঠন, বিপ্লবী অভ্যুত্থানে যারা ছিলেন, প্রতিটি সেক্টরের সঙ্গে যতটা পারা যায় মতামত প্রতিফলিত করা হবে।'
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে প্রস্তাবিত ছয় সংস্কার কমিশনের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা।
নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত ছয় কমিশন আগামী ৩১ ডিসেম্বর তাদের রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেবে বলে জানান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, 'বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছয়টি সংস্কার কমিশন আগামী ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে এবং আগামী ৩১ ডিসেম্বরে এই কমিশনগুলো রিপোর্ট দেবে।'
কমিশনগুলো রিপোর্ট দিলে সেগুলো প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় পর্যালোচনার পর অনলাইনে উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানান আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, 'হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রযন্ত্র সংস্কার ও স্থায়ীভাবে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ সংস্কারের মূল লক্ষ্য থাকবে।'
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর এটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে। অবাধ নির্বাচন নিশ্চিতে সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারেও অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করবে।
এ সময় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম উপস্থিত ছিলেন।