কোটা আন্দোলন: গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪৮ দিন পর মারা গেল রাতুল
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট বগুড়ায় গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র রাতুল (১৫) মারা গেছে। গতকাল রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
রাতুল বগুড়া শহরের ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকনি মো. জিয়াউর রহমানের ছেলে। মায়ের নাম রোকেয়া বেগম। রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
রাতুলের স্বজনরা জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পাড়ার ছেলেদের সাথে আনন্দ মিছিলে যায় রাতুল। মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে যায়, তখন এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হলে রাতুলের মাথায় গুলি লাগে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
রাতুলের স্বজনরা আরও জানান, দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে রাতুলের মরদেহ বগুড়ায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম জানান, রাতুল নামের এক স্কুলছাত্র ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বিস্তারিত পরে জানতে পারব।