বিমানবন্দরে ভিআইপি সেবা পাবেন রেমিটেন্স প্রদানকারীরা: প্রবাসী উপদেষ্টা
রেমিটেন্স প্রদানকারী প্রবাসী কর্মীরা বাংলাদেশে বিমানবন্দরে ভিআইপি সেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একটি ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল বলেন, "বিমানবন্দরে ভিআইপি হিসেবে যে-সব সুবিধা দেওয়া হয়, লাউঞ্চ ব্যবহারের সুবিধা ছাড়া তাদের আমরা সব সুবিধা দেব।
নজরুল জানান, যখন ভিআইপি ব্যক্তি বিমানবন্দরে যান, তখন প্রায়ই তাদের সাথে কেউ থাকে যারা তাদের লাগেজ বহন করে এবং চেক-ইন ও ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এই সেবাগুলোই প্রবাসী কর্মীদের দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, "প্রাথমিকভাবে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত শ্রমিকদের এ ধরনের সুবিধা দেব। পরে ইউরোপের প্রবাসী কর্মীদের সেসব সুবিধা দেওয়া হবে। একজন শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া ও আসার সময় ভিআইপি সেবা পাবেন। আমরা পরবর্তীতে লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করবো।"
তিনি আরও বলেন, "আগামী এক মাসের মধ্যে একজন শ্রমিক বিমানবন্দরে যে 'অসহায় পরিস্থিতি' অনুভব করেন তা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন প্রশিক্ষিত কর্মী নিয়োগ করব। আমরা কোনো অবস্থাতেই কোনো প্রবাসীকে বিমানবন্দরে হয়রানি বা অপমানিত হওয়ার সুযোগ দেব না।"
অপরদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানাতে গিয়ে জেলা খানায় আটক ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে ফেরত আসা শ্রমিকদের পুনর্বাসনের বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, "ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে যে প্রবাসী শ্রমিকরা জেল খেটেছেন এবং যাদের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে, আমরা সবাই তাদের ক্ষতিপূরণ মনে রাখি। আমরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করব।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা ইতোমধ্যে ৮৭ জনের একটি তালিকা তৈরি করতে পেরেছি। আমরা বাংলাদেশে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। আমরা এটি বাংলাদেশের দায়িত্ব বলে মনে করি।"
অপরদিকে বিদেশের যে আর মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "এখন থেকে শুধু সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস এবং বিএমইটি (ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) এই বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবে।"
এছাড়া রেমিটেন্স বাড়াতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী উপদেষ্টা। আসিফ নজরুল জানান, রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, "প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা এখন এমন ব্যবস্থা করেছি যাতে সরাসরি রেমিটেন্স এই ব্যাংকে পাঠানো যায়। যারা এই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা সরাসরি রেমিটেন্স পাঠিয়ে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন।"
তিনি আরও বলেন, "প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পাশাপাশি আমরা আরও ১২টি ব্যাংকের সাথে আলোচনা করেছি। আমরা তাদের বলেছি, প্রবাসীদের ঋণের প্রয়োজন, আপনারা দিন। তারা একমত হয়েছে, তবে ঋণ প্রদানের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রয়োজন হবে।"
আসিফ নজরুল বলেন, "এখন মজুরি আর্নার্স বন্ড কেনার সর্বাধিক সীমা এক কোটি টাকা। আমরা এটি বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছি।"