লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৮৩ জন
যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৮৩ জন বাংলাদেশি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতে বাংলাদেশি দূতাবাস, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক আটকে পড়া আরও ১৮৩ বাংলাদেশি মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে দেশে প্রত্যাবাসন করেছেন।
এরমধ্যে ১৫১ জন স্কাই ভিশন এয়ারলাইন্সের 'এসভিআই-৫০০২' ফ্লাইট-যোগে গতরাত ১টায় দেশে ফেরেন। এই ফ্লাইটটি ছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট।
এর কিছুক্ষণ আগে রাত ১১টায় বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে 'ইকে ৫৮৪' ফ্লাইটে করে লেবানন থেকে আরও ৩২ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়।
এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন।
প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।
আইওএম-এর পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫০০০ টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সাথে তারা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন।
এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক, তাদের সকলকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে লেবাননের বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।