চট্টগ্রামের ফুসফুস ‘সিআরবি’ রক্ষা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতারা
নাগরিক আন্দোলনে রূপ নেওয়া সিআরবি রক্ষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রধান নেতারা। সমাবেশ থেকে সিআরবিকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণারও দাবি উঠেছে।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, 'চট্টগ্রামের ফুসফুস' খ্যাত সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ ঠেকাতে তারা যে কোনো ধরনের আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি নিশ্চিত সিআরবিতে হাসপাতাল হোক তা প্রধানমন্ত্রীও চান না। কিছুদিন পর সংসদ অধিবেশনে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবে বলে জানান।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, "রেলমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের মানুষ না চাইলে হাসপাতাল হবে না। আজ আমরা সবাই একত্র হয়েছি, মন্ত্রী এবার আপনার কথা রাখুন।"
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, "আমি সিডিএর দায়িত্বে থাকা কালেই সিআরবিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছিলো। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। তাই শুধু হাসপাতাল নয়, সিআরবিতে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা হওয়ার সুযোগ নেই।"
২০২০ সালের ১৮ মার্চ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) চুক্তির আওতায় ১৮৭২ সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি)-এর পাশে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
চুক্তি অনুযায়ী, রেলের ছয় একর জায়গায় ৫০০ শয্যার হাসপাতাল এবং ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি নির্মাণ করবে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। প্রকল্পটি বাতিলের দাবিতে গত বছরের ১৩ জুলাই শুরু হওয়া আন্দোলন কর্মসূচি টানা নয় মাসে গড়িয়েছে।
তবে আন্দোলন চলাকালেই ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড রেলপথ মন্ত্রণালয়ে 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্স' নামে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আবেদন করে। গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই নামে হাসপাতাল করার ব্যাপারে অনুমোদন দেয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।