কনটেইনার ডিপোতে আগুন: মারা গেছেন ফেসবুকে লাইভ করা সেই নয়ন
সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করা যুবক অলিউর রহমান ওরফে নয়ন (২০) মারা গেছেন। রোববার বিকেলে নয়নের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার চাচা সুন্দর আলী।
নয়ন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আগুন লাগার পর রাত ১০টা ৭ মিনিটে নয়ন ফেসবুকে লাইভ শুরু করেন। তার লাইভ যখন প্রায় ৪১ মিনিটে, তখন বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। তারপর ওই লাইভটি অন্তত আরও ৪ মিনিট চলে। ওই ৪ মিনিট স্ক্রিন ছিল অন্ধকার। তার লাইভ চলাকালীন অনেককেই মোবাইল হাতে ওই স্থানে লাইভ করতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আর্তনাদের শব্দ ভেসে আসে।
অলিউরের সহকর্মী রুয়েল আহমদ জানান, তারা খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে এলেও ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যান। কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। দুপুরে নয়নের চাচা চমেকে তার মরদেহ শনাক্ত করেছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, '৪৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। ৪১ জনের মরদেহ চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯০ জনের বেশি। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ১৫ জন, জেনারেল হাসপাতালে ৬ জন কে ভর্তি করা হয়েছেন।'
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। ওই সময়ই সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও ২৪ ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণে কনটেইনার ডিপোর আশপাশের তিন থেকে চার কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও আশপাশের শতাধিক ঘরবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। আশপাশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে ধা