কলকাতার নন্দনে ‘হাওয়া’র রেকর্ড, প্রশংসায় ভাসলেন চঞ্চল চৌধুরী
গত ২৯ অক্টোবর ভারতের কলকাতায় শুরু হয় ৪র্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এখানে ৩৭টি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। উৎসবে বাংলাদেশের আলোচিত অনেক সিনেমা দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত হয়েছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে মেজবাউর রহমান সুমনের পরিচালনায় 'হাওয়া' সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরী হয়।
কলকাতার গণমাধ্যম 'দ্য ইকোনমিক টাইমস' বেশ গুরুত্ব দিয়ে 'হাওয়া' সিনেমার এই সাফল্য তুলে ধরেছে। সেখানে উল্লেখ করা আছে যে দর্শনী ছাড়া এই সিনেমা দেখার জন্য দর্শকের আধা কিলোমিটার পর্যন্ত লাইন দেখা গেছে। যারা হলে শেষ পর্যন্ত ঢুকতে পেরেছিলেন, তাদের অনেকেই সিট না পেয়ে ফ্লোরে বসে সিনেমাটি দেখেন।
কলকাতার নন্দনের বিভিন্ন হলে উৎসবের সিনেমাগুলো প্রদর্শিত হয়। আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে কলকাতার দর্শকের মধ্যে আগ্রহ তৈরী হয়। বিশেষ করে সিনেমাটির 'সাদা সাদা কালা কালা' গানটি ইউটিউবের মাধ্যমে কলকাতার দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তারপর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে সেখানকার দর্শকের মধ্যে আগ্রহ তৈরী হয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একাধিক পোস্ট থেকে জানা যায়।
গত কয়েক দশকে বাংলাদেশের কোনো সিনেমা নিয়ে দর্শকের এতো মাতামাতি আর দেখা যায়নি বলে জানা গেছে। উৎসব উপলক্ষে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি টিবিএসকে টেলিফোনে বলেন, ' আমি অভিভূত দর্শকের এই আগ্রহ দেখে। হাওয়া যে তারা এতোটা পছন্দ করবেন, তা আগে থেকে জানা ছিলোনা। অনেকদিন নন্দনে এমন দর্শকের ভিড় চোখে পড়েনি বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। দুই-তিন হাজার দর্শক লাইনে আসছেন, কিন্তু তার অর্ধেকেরও বেশী ফিরে যাচ্ছেন মিলনায়তনে ঢুকতে না পেরে। এই প্রথম দর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শতাধিক পুলিশও মোতায়েন করতে হয়েছে। আমি মনে করি, এটি একটি রেকর্ড। আমি এই সিনেমার অভিনেতা হিসেবে সম্মানিত বোধ করছি। এটি বাংলাদেশী সিনেমার একটি দারুন অর্জন'।
জানা গেছে দর্শকের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে ৪টি থেকে ৬টি করা হয় শো। গতকাল শেষ হয়েছে এই চলচ্চিত্র উৎসব।