ভাগ্যবান পুরুষের বাঙালি বৌ হয়: রাজকুমার রাও
একটা বিজ্ঞাপনী শ্যুটের ফাঁকে প্রথমবার পত্রলেখাকে দেখেছিলেন বলিউডের তারকা অভিনেতা রাজকুমার রাও। সেদিনই মনে মনে ঠিক করে ফেলেছিলেন, এই মিষ্টি মেয়েটাকেই বিয়ে করবেন তিনি। অবশেষে ১১ বছর প্রেমের পর গত বছরের নভেম্বরে চার হাত এক হয় দু'জনার।
সম্প্রতি স্ত্রী পত্রলেখাকে সাথে নিয়ে একটি ফ্যাশন শোয়ে অংশ নেন রাজকুমার। এটাই রাজকুমার আর পত্রলেখার একসঙ্গে প্রথম র্যাম্পে হাঁটা।
সেখানে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নায়ক বলে উঠলেন, "আমি কিন্তু বাংলা বুঝি এবং বাংলায় কথা বলতে পারি। হাজার হোক আমি বাংলার 'জামাই'! আমার স্ত্রী পত্রলেখা সব শিখিয়ে দিচ্ছে।'
"আমি চাইব সব পুরুষের যেন বাঙালি বৌ হয়। দেখুন অমিতাভ বচ্চনেরও কিন্তু বাঙালি বৌ। অমিতজীর পরে মানুষ আমাকে কোলকাতার 'জামাই' বলে ডাকছে, এ তো পরম সৌভাগ্য আমার।''
মুখে হাসি নিয়ে রাজকুমারের ঠিক পাশেই তখন দাঁড়ানো পত্রলেখা।
অভিনয় প্রসঙ্গে রাজকুমার জানান, কখনোই এক ধারার ছবিতে কাজ করতে চান না।
তার কথায়, "মানুষ ভালো বলছে বলে একই ধারার চরিত্র করে যাব, এটা হয় না। বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করতে হবে। এক রকম কাজ করলেই আমার একঘেঁয়ে লাগবে। পরের ছবিতেই যেমন এক অন্ধ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করব।"
সমালোচনাকে আমলে নেন না রাজকুমার। ''কোনটা সমালোচনা আর কোনটা নোংরামি, আমি বুঝতে পারি। এড়িয়ে চলি,'' বলেন রাজকুমার।
"সমালোচনা তো থাকবেই। লেখা পড়লেই বোঝা যায় যে, অনেকে লিখতে হবে বলেই কিছু লিখে দিচ্ছেন। আমি আমার সমালোচক। পত্রলেখাও আমার সমালোচক। কোথাও ভুল হলে বুঝতে পারি। তবে গঠনমূলক সমালোচনা আমাকে সাহায্য করে।"