২০ বছর ধরে একই মোবাইল ফোন; হোয়াটসঅ্যাপও ব্যবহার করেন না পঙ্কজ ত্রিপাঠি!
এই মুহূর্তে বলিউডের প্রযোজকদের পছন্দের তালিকায় একদম উপরের দিকে তাঁর নাম। কিন্তু একটা সময় প্রোডাকশন হাউজের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয়েছে তাঁকে। কোনো ছবিতে একটা বা কোনোটায় আধখানা রোল মিলত, ছবিতে শুধুমাত্র 'এক্সট্রা' হয়েই থেকেছেন তিনি। তবে যুগ পাল্টেছে, সেইসঙ্গে ভাগ্য পাল্টেছে পঙ্কজ ত্রিপাঠির। 'সেক্রেড গেমস'-এর কালিন ভাইয়াকে মনের মণিকোঠায় স্থান দিয়েছে হিন্দি সিনেপ্রেমীরা। এখন তাঁর ঝুলিতে একের পর এক ছবি, সিরিজ।
বিহারের গোপালগঞ্জে নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের ছেলে পঙ্কজ, সম্মান দেরিতে এলেও বলিউড তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে পঙ্কজ ত্রিপাঠি অভিনীত 'ওহমাইগড ২'। এই ছবি নিয়ে চারিদিকে সমালোচনার ঝড়। তবে মুক্তির পর সমালোচক থেকে শুরু করে দর্শকদের বাহবা কুড়োচ্ছে এই ছবি। অক্ষয়-পঙ্কজদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলেই। এর মাঝেই নিজের অতীতের স্মৃতি ফিরে দেখলেন পঙ্কজ।
কৃষক পরিবারের ছেলে হয় জন্মানোর সুবাদে ধৈর্য রাখার সহজাত ক্ষমতা রয়েছে পঙ্কজের, নিজের মুখেই জানিয়েছেন সে কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান- ২০ বছর ধরে একটাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন তিনি। সদ্যই এক নামী মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দেখা মিলেছে পঙ্কজের। কিন্তু নিজে সেইসব ফোন ছুঁয়েও দেখেন না অভিনেতা।
পুরনো ফোনের ফিচারও সব পুরোনো দিনের। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না পঙ্কজ। ভরসা সেই ফোন কল বা টেক্সট ম্যাসেজ। জীবনের প্রথম সবকিছুই পঙ্কজ ত্রিপাঠির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান অভিনেতা। তাঁর প্রথম গাড়ি ছিল i10, সেই গাড়িও যত্নে রেখে দিয়েছেন তিনি। সযত্নে তোলা রয়েছে নিজের জমানো টাকায় কেনা মোটরবাইকটিও।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, 'আমার অর্জন নিয়ে বাবা খুব বেশি গর্বিত নয়। আমার বাবা এও জানেন না, আমি সিনেমায় ঠিক কী করি। আজ পর্যন্ত তিনি জানেন না সিনেমা হল ভিতর থেকে কেমন দেখতে। কেউ যদি তাঁকে কম্পিউটারে বা টেলিভিশনে আমার কাজ দেখায়, তবেই তিনি দেখেন।'
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভুলে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে হাজির মায়ানগরীতে। তাঁর প্রথম ছবি 'গ্যাংস অব ওয়াসিপুর' মুক্তি পায় ২০১২ সালে, এই ছবিই পঙ্কজের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। অনুরাগ কাশ্যপের সুলতান হিসাবে সবার মনে দাগ কেটেছিলেন অভিনেতা।