১৯৩৮ সালেই বিচার বিভাগ আলাদা করার দাবি করেছিলেন শেরে বাংলা
১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর শেরে বাংলা ফজলুল হক বরিশালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এমনি একটা জন্মদিনের সংবাদ পরিবেশন করে দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাসমূহ। কেবল জন্মদিনের ও মৃত্যুদিনের খবর পত্রিকার ভেতরের পাতায় পরিবেশন করে পত্রিকা। পূর্ববঙ্গের কৃষকদের বিষয়ে তার দীর্ঘ সহমর্মিতার ইতিহাস কিংবা পাকিস্তানের জন্ম সময়ের রাজনৈতিক ইতিহাস ও একজন আইনজীবী হিসাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে তার মতামত জানানোর দায়িত্ব পালনে পত্রিকাগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলছে বছরের পর বছর।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দীর্ঘ জীবনের নানা দিকের কোনো একটি দিকের উল্লেখ না করা আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করার প্রয়াস।
১৯০৬ সালে লন্ডনে আগা খানের নেতৃত্বে মুসলিম লীগের জন্মকালীন সময় থেকে ভারতীয় মুসলিম লীগের এই নেতা একাধিকবার মুসলিম লীগ ত্যাগ করেছেন। তিনি মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন একই সময়। ভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদকও ছিলেন এই নেতা।
বঙ্গভঙ্গ নিয়ে যখন কলকাতায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হলো, তখন কংগ্রেস কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয় নাই আর মুসলিম লীগের নাম ভালোভাবে ভারতীয়রা শোনে নাই। ফলে বাংলার মানুষ সেই বিতর্কে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়ে পরে, যা ছিল মানষকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত করার প্রথম রাজনৈতিক প্রয়াস। বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে যে পূর্ববঙ্গের জন্ম হয়, তার ছিল মুসলিম প্রধান অংশ আর সংখ্যায় ছিল মূলত কৃষককুল বেশি।
বঙ্গভঙ্গের সময়কালেই, অর্থাৎ ১৯০৫ সালের পরই পূর্ববঙ্গের ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি উত্থাপিত হয়। অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবির বিরোধিতা করেন, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম জড়িত। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার দিন কলকাতায় ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম হরতাল পালিত হয়। কলকাতা শহরে এক বিশাল মিছিল করে বঙ্গভঙ্গ হওয়ার বিরোধিতা করা হয়।
বরিশালের ফজলুল হক তখন কলকাতার তরুণ আইনজীবী। বঙ্গভঙ্গের পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করেন। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করে ব্রিটিশ সরকার, আর কলকাতা থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়।
১৯১৩ সালে ফজলুল হক প্রথম বেঙ্গল লেজিসলেচার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন। সেই থেকে একটানা ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত বেঙ্গল লেজিসলেচার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
বেঙ্গল লেজিসলেচার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকায় একটি কৃষি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন ফজলুল হক, পূর্ববঙ্গের অন্যসব বিশিষ্টজনের সঙ্গে মিলিতভাবে। বঙ্গভঙ্গ রদের বিনিময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন গৃহীত হলেও কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কৃষি কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে। পূর্ববঙ্গের পরিবর্তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলকাতার নিকটবর্তী শহরে এই কৃষি কলেজ বানানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন কলকাতাকেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবীরা। ফলেবহু কাল আটকে যায় তার উদ্যোগ।
অবশেষে ১৯২৪ সালে বেঙ্গল লেজিসলেচার কাউন্সিলে বেঙ্গল কৃষি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১৯২৬ সালের ১৬ অক্টোবর রয়াল কমিশন অব অ্যাগ্রিকালচার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কমিশনের দায়িত্ব ছিল কোথায় হবে কৃষি কলেজ তা নির্ধারণ করা। দীর্ঘ পর্যালোচনা ও পূর্ববাংলার কৃষি নির্ভরতার কারণে অবশেষে ১৯২৯ সালে সেই কমিশন পূর্ববঙ্গে কৃষি কলেজ স্থাপনের রায় দেয়। যে কমিশনের প্রধান ছিলেন নিন লিথ গো নামে এক ব্রিটিশ, আর সদস্য ছিলেন পূর্ববঙ্গের পক্ষ থেকে অন্যদের সঙ্গে ফজলুল হক।
ভারতে তখন কমিউনিস্ট পার্টির জন্ম হয়েছে, আর এদের কারও কারও সঙ্গে তার সখ্যতা বৃদ্ধি পায়। ফলে জনাব হকের রাজনৈতিক দর্শনে বামপন্থী প্রভাব লক্ষ্য করা সেই সময়কালে। জনাব আবুল কাশেম ফজলুল হক ১৯৩৫ সালে কলকাতা শহরের মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন প্রথম মুসলিম এবং কলকাতার নবম মেয়র। তাকে কলকাতায় পরিচিত করে তুলেছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়- যিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। কলকাতায় ছাত্রাবস্থায় ফজলুল হক স্যার আশুতোষের বাড়িতেই থাকতেন। তাকে স্যার আশুতোষ সন্তানতুল্য স্নেহ করতেন। স্যার আশুতোষেরই পুত্র ড. শ্যামা প্রসাদ।
এই ফাঁকে বলে রাখা ভালো, ছাত্রাবস্থায় ফজলুল হক বি.এ. পাস করার পর মাস্টার্স ক্লাসে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি ভাষায়। পরীক্ষার মাত্র ছয় মাস আগে তাকে এক বন্ধু ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, মুসলমান ছাত্ররা অংক নিয়ে পড়ে না; কারণ তারা মেধাবী নয়। এই কথা শুনে তার জেদ চেপে যায়। তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন, অংকশাস্ত্রেই পরীক্ষা দেবেন। এরপর, মাত্র ছয় মাস অংক পড়েই তিনি সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।
তার নাম মুসলিম লীগের লাহোর সম্মেলনে পাকিস্তান প্রস্তাবের প্রস্তাবক হিসাবে প্রচলিত। অথচ সেই প্রস্তাবে পাকিস্তান নামের কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চের সেই প্রস্তাব নিম্নরূপ:
That geographically contiguous units are demarcated into regions which should be constituted, with such territorial readjustments as may be necessary that the areas in which the Muslims are numerically in a majority as in the North Western and Eastern Zones of (British) India should be grouped to constitute 'independent states' in which the constituent units should be autonomous and sovereign.
মুসলিম লীগের এই প্রস্তাবের লেখক পাঞ্জাবের চৌধুরী জাফরউল্লাহ আর প্রস্তাবটি পাঠ করেন একে ফজলুল হক তিনি তখন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের আওতায় ১৯৩৭ সালে অবিভক্ত বাংলার নির্বাচনে মুসলিম লীগ ত্যাগ করে নব গঠিত কৃষক প্রজা পার্টির নেতা হিসাবে বাংলার মুসলিম লীগের নেতা খাজা নাজিমউদ্দীনকে তার নিজ জমিদারি এলাকা বর্তমানের পটুয়াখালিতে ৭ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
নিজে আলাদা দল গঠনের মূল কারণ ছিল, সেই সময়ের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ভারতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ তার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তথা জমিদারি উচ্ছেদের দাবি ও মহাজনি সুদ বাতিলের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। যে কারণে আলাদা দলে নির্বাচনে ২৫০টি আসনের মধ্যে ৩৬টি আসনে জয়লাভ করে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে বাধার সৃষ্টি করে।
পরবর্তীকালে মুসলিম লীগও কংগ্রেসের সমর্থনে বাংলার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত লাভ করেন ফজলুল হক। বাংলার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৩৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরাতন বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট ঢাকায় গড়ে তোলেন। প্রথমেই তিনি এই প্রতিষ্ঠানের জন্য সেই সময় দেড় লাখ রুপি বরাদ্দ করেন।
ইতিপূর্বে ঢাকার অদুরে তেজগাঁও এলাকায় ৩০৪.৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় রয়েল কমিশন অব অ্যাগ্রিকালচারের সময়কালে, যা আজকে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় প্রথম দেড় লাখ রুপি বরাদ্দ করেন এবং ১৯৩৮ সালের ডিসেম্বরে এই বেঙ্গল অ্যাগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউটের ভিত্তি রচনা করেন।
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ১৯৪০ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত হয় নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশন। ২২ থেকে ২৪শে মার্চ তিনদিনের ওই অধিবেশনে এক জ্বালাময়ী বক্তৃতায় প্রথম 'পাকিস্তান গঠনের প্রস্তাব' পেশ করেন বাংলার প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক।
ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিমের মুসলমান প্রধান অংশে 'স্বায়ত্তশাসিত পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার দাবি সম্বলিত সেই প্রস্তাব গৃহীত ও পাশ হয় ওই অধিবেশনে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে 'লাহোর প্রস্তাব' ছিল একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা পরে 'পাকিস্তান প্রস্তাব' নামে পরিচিত হয়।
তার ওই বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসীরা তাকে উপাধি দিয়েছিলেন 'শের-ই-বঙ্গাল' অর্থাৎ 'বাংলার বাঘ'। তখন থেকে তিনি 'শেরে বাংলা' নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের সময় মুসলিম লীগ একমাত্র বাংলায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল কর্তৃক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘোষণার ফলে কংগ্রেস তার বিরোধিতা করে ৮টি প্রদেশে থেকে পদত্যাগ করে; কিন্তু বাংলায় ফজলুল হক ক্ষমতায় থাকলেন মুসলিম লীগের সিদ্ধান্তে। কারণ, ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর মুসলিম লীগে পুনরায় যোগদান করেছিলেন তিনি। মুসলিম লীগ তখন ঋণ সালিশি বোর্ড গঠনে জমিদারি ব্যবস্থা উচ্ছেদের দাবি মেনে নিয়েছিল।
সেই সময় তিনি বাংলার পার্লামেন্টে প্রথম বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বলা যায়, সেই প্রথম ভারতীয় জনগোষ্ঠী জানতে পারে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা। ব্রিটিশ সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার দেশে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা আর ভারতে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ আলাদা হবে না? যে বিষয় বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালের পাকিস্তান কনিসটিউশনাল অ্যাসেম্বলিতে বলেছেন, ১৯৩৮ সালের প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিচার বিভাগ আলাদা করতে হবে। নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা এ দেশে কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, এ প্রশ্ন করা যায়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মুসলিম লীগ ব্রিটিশ সরকারকে সমর্থন করেছিল। যে কারণে যুদ্ধের সময় অন্য প্রদেশগুলোতে গভর্নর শাসন চালু ছিল। ১৯৪২ সালে এই নেতা সর্বশেষ মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন। প্রধান কারণ ছিল, বাংলা থেকে ব্রিটিশ সৈন্যদের খাদ্য সরবরাহ করা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানালে সেই সময়ের অন্যসব নেতা তার বিরোধিতা করেন। যে কারণে তিনি মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন এবং তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করে খাজা নাজিমউদ্দীনকে প্রধানমন্ত্রী ও সোহরাওয়ার্দীকে সরবরাহ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরিণতিতে ১৯৪৩ সালে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত দুর্ভিক্ষে এক কোটি মানুষ প্রাণ হারায়।
১৯৪২ সালে মুসলিম লীগ ত্যাগ করার পরে তার সঙ্গে মুসলিম লীগের চিরস্থায়ী শত্রুতা তৈরি হয়।
পাকিস্তান জন্মের সময়ে খাজা নাজিম উদ্দীন জিন্নাহ তথা ব্রিটিশদের কাছে আস্থাভাজন থাকায় তিনি তখন দর্শক সারিতে। ১৯৫০ সালেই তিনি পাকিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতার অংশে পরিণত হন। প্রথমে পাকিস্তানের অ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের ভেতর দিয়ে এই ভূখণ্ডের মানুষের কাছে তার পূর্ব রূপে ফিরে আসেন ফজলুল হক এবং তার নেতৃত্বে ৪ দলীয় যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় ১৯৫৪ সালে। তার নিজ দল জোটে সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সেই সময় তাকেই প্রধানমন্ত্রী বানানো হয় জোটের নির্বাচন পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুসারে।
অল্প সময় টিকে ছিল তার সরকার। ১৯৫৪ সালেই ইস্কেন্দার মির্জা ১৯৩৫ সালের ভারত আইনের ৯২(ক) ধারায় শেরে বাংলার যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ভেঙ্গে দেন। তার সরকারে তখন মাত্র ৩৪ বছর বয়সী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
তারপরই পাকিস্তানের রাজনৈতিক মঞ্চে পরবর্তন হতে থাকে। কখনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কখনো পূর্ববাংলার গভর্নর ইত্যাদি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন আইয়ুবি শাসন পর্যন্ত। ১৯৬২ সালে ৮৮ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন।
- লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক