আমরা এখন বই পড়ি না, পড়ি ফেসবুক
স্কুলে প্রতি শ্রেণিতেই ড. লুৎফর রহমানের একটি প্রবন্ধ অবশ্য পাঠ্য হিসেবে আমাদের টেকস্ট বইতে থাকতো। সবগুলো প্রবন্ধের কথা মনে নাই, তবে একটি প্রবন্ধ ছিল 'বইপড়া'। ওনার লেখা সেইসময় অর্থাৎ ৭০ দশকের শেষের দিকে আমাদের কাছে ব্যাপক আদর্শমূলক মনেহতো এবং পড়তে বেশ বিরক্ত লাগতো। কিন্তু অবশ্য পাঠ্য বলে মাফ পাওয়ার উপায় ছিল না, পড়তেই হতো।
ব্যক্তিগতভাবে আমি বিরক্তবোধ করতাম এই ভেবে যে বইপড়া নিয়ে আবার ক্লাসের বইতে পড়তে হবে কেন? বইতো আমরা পড়িই। গল্প, কবিতা, উপন্যাস, কমিকস, ছোটদের ম্যাগাজিন নিজেরা কিনে পড়তাম, উপহার পেতাম, উপহার দিতাম।
আম্মার ঝিনুক ও জলসাঘর ম্যাগাজিন, চিত্রালী ও পূর্বাণী লুকিয়ে পড়তাম ছোটবেলায়। যে বই পড়তাম সেটা নিয়ে বন্ধুদের ও ভাইবোনদের সাথে আলোচনা করতাম। নতুন কী পেলাম, কোন বইটা পড়া উচিৎ এইসব নিয়ে। কে কত বই পড়লাম, এটাও ছিল একধরনের অলিখিত প্রতিযোগিতা। কাজেই ড. লুৎফর রহমান সাহেবকে কেন বলতে হবে বইপড়।
আব্বার হাত দিয়ে আমার ও আমার ভাইয়ের বইপড়া শুরু। প্রায় প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় আব্বার হাতে থাকতো প্রগতি প্রকাশনীর রুশ গ্রন্থসমূহ, লীলা মজুমদারের বই, নবারুণ, শাপলা শালুক, নানাদেশের ছোটদের রুপকথা, বেতাল, ঠাকুরমার ঝুলি এধরনের নানান বই। সেই সাথে আব্বার জন্য থাকতো নিউজউইক, টাইম, ন্যাশনাল জিওগ্রাফি। কোনদিন বই না আনলে মনখারাপ হতো।
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় নিজেদের টাকা জমিয়ে বই কিনেছি, বন্ধুদের ভাইবোনের জন্মদিনে উপহার ছিল বই বা ভাল কলম। মাঝেমাঝে সুন্দর ডায়েরি কিনে দিয়েছি। আর গানের ডালি থেকে পছন্দের গান ক্যাসেটে ভরে উপহার দিতাম। এখন অবশ্য কাউকে বই উপহার দিতে দেখিনা, আমিও বই উপহার দেই না। নিউমার্কেটের বইপাড়া আর নীলক্ষেতের বইয়ের বাজার ছিল ঘোরাঘুরির জায়গা। জিনাত বুক হাউস ছিল প্রিয় দোকান।
বই পড়ার নেশা এতটাই তীব্র ছিল যে পড়ার বইয়ের নিচে গল্পের বই রেখে পড়াটা ছিল নিত্যদিনের। আম্মার কাছে ধরা পড়ে বকাও শুনেছি বহু। রাতে জানালার কাছে গিয়ে বাইরের আলোর সাথে হ্যারিকেনের আলোতে বই পড়তাম। কারণ এই গল্পের বইটা কালকের মধ্যে শেষ করে আরেকজনকে ফেরত দিয়ে আরেকটি আনতে হবে। কাজেই সময় নেই হাতে।
বইপড়া নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা হতো। কেউ কারো চেয়ে বেশি পড়ে ফেললে মনখারাপ হতো। কে কী বই পড়ছি, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে বইপড়া। আশুতোষ, বিভূতিভূষণ, নীহাররঞ্জন, বুদ্ধদেব গুহ, বুদ্ধদেব বসু, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, বোমকেশ, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু, সুকুমার রায়, বঙ্কিম, উপেন্দ্রকিশোর, শরৎ রচনাবলী, রবীন্দ্রনাথ সবার বই ছিল পাঠ্যতালিকায়। মাসুদ রানা, কুয়াশা, তিন গোয়েন্দা, সেবা প্রকাশনীর অনুবাদ গ্রস্থ, রকিব হাসানের অনুবাদ সব বই ছিল আমাদের হাতে হাতে।
জাহানারা ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলি' মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে দিনপঞ্জীতে পরিণত করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন। কতজনকে যে এই বই উপহার দিয়েছি, এর হিসাব নাই। এম আর আক্তার মুকুলের 'আমি বিজয় দেখেছি', হাসান আজিজুল হকের 'একাত্তর: করতলে ছিন্ন মাথা', 'লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে', রশীদ হায়দারের '১৯৭১: ভয়াবহ অভিজ্ঞতা' আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সামনে এনে দিয়েছিল। পরবর্তীতে আমাদের আরো বই পড়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে।
সেইসময় আমাদের বন্ধুদের ২/১ জন ইংরেজি বইও পড়তো। আমরা অধিকাংশই পড়েছি ইংরেজি বইয়ের বাংলা অনুবাদ যেমন, শার্লক হোমস, লিটল হাউজ অন দ্যা প্রেইরি, গ্যালিভার, হাকল বেরি ফিন, গুপ্তধনের সন্ধানেসহ আরো অনেক বই। দৈনিক বাংলা থেকে প্রকাশিত 'কিশোর বাংলা' ছিল আরেকটি প্রিয় পাতা। অদ্ভুত একটা নেশা ছিল বই পড়ার প্রতি। হাতের কাছে যা পেতাম, তাই পড়তাম।
আরেকটু বড় হয়ে পেলাম কমিকস সিরিজ টিনটিন, এসট্রিক্স, আর্চিস, হাদাভোঁদা, নন্টে ফন্টে, বাটুল দ্যা গ্রেট। পেলাম জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবিরের অনবদ্য কিশোর উপন্যাস। শাহরিয়ার কবিরের 'নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়' বা 'কার্পেথিয়ানের কালো গোলাপ' মনেহয় চার/ পাঁচবার পড়েছি। বাকি বইগুলোও তাই। শাহরিয়ার কবির ও মুহাম্মদ জাফর ইকবালের এমন কোনো বই নেই যা আমরা পড়িনি বা আমাদের বাসায় নেই।
জাফর ইকবালের 'আমার বন্ধু রাশেদ' এবং 'কাঁচের দেয়াল' সেরা বইগুলোর দুইটি। শীর্ষেন্দুর কিশোর উপন্যাস আমাদের কাছে কাড়াকাড়ি করে পড়ার মতো বই ছিল। পুজা সংখ্যা আনন্দমেলা প্রতিবছর কিনেছি। এছাড়া হুমায়ুন আহমেদ, আলী ইমাম, আব্দুল্লাহ আল মুতী, শরফুদ্দিনের বই পড়তাম। আমরা যে যা বই পড়তাম, সেগুলো নিয়ে নিজেরাই আলোচনা করতাম। 'উন্মাদ' বের হওয়ার পর এর নিয়মিত গ্রাহক হলাম। তখন ইংরেজি পড়ুয়া বন্ধুরা হাতে তুলে দিলো 'ম্যাড'। স্কুলে এবং খেলাঘর আসরে সদ্য পড়া বইয়ের উপর আলোচনা হতো নিয়ম করে।
মাসুদ রানা ও হুমায়ুন আহমেদ আমাদের দেশের কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের বইমুখো করেছেন। এত লুসিড ভাষা যে মানুষ যখন-তখন, যেখানে-সেখানে পড়তে পারতো। ট্রেনে বা বাসে যাওয়ার সময় হকাররা নানাধরনের বই নিয়ে আসতো। পথে পড়ার জন্য সেই বইও কিনে নিতাম। আজকাল আর বই ফেরিওয়ালা দেখিই না।
জেলা শহর ও গ্রামের বাড়িতেও দেখেছি ঘরে ঘরে হুমায়ুন আহমেদ, মাসুদ রানা, জাফর ইকবাল স্যারের বই। সাথে ছিল ভারতীয় পপুলার লেখকদের বই। সেইসময় কোন বই বেশি ভাল বা ইন্টারেস্টিং এই নিয়েও বন্ধুদেও মধ্যে তর্কবিতর্ক হতো। পরীক্ষা শেষ হওয়া মানে অফুরন্ত খেলা আর স্বাধীনভাবে বইপড়ার আনন্দ। বইমেলা চলার সময়টায় টাকা জমিয়ে বই কিনতাম সবাই মিলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়লাম রাশিয়ান লেখকদের সাড়া জাগানো সব বই ইস্পাত, মা, থার্ড রাইখ, দ্য লর্ড অফ দ্য রিংস, দি লিটল প্রিন্স, রেনেসাঁ, মোবি-ডিকের গল্প, শী, মিডলমার্চ - এরকম আরো নানা কঠিন বই। আমাদের শিক্ষকদের কেউ কেউ এধরনের বই পড়ে ক্লাসে আলোচনা করতেন এবং আমাদেরও বাধ্য করতেন আলোচনায় অংশ নিতে।
বই পড়াটা একটা নেশা। এই নেশার ঘোরে যতোদিন সময় কাটিয়েছি, ততোদিন সময় কাটানো কোনো সমস্যা ছিলনা। তাসকেরাতুল আম্বিয়া বা তায়কেরাতুল আউলিয়া থেকে আরব্য উপন্যাসও বাদ যেতো না।
আমাদের পরের প্রজন্মের হাতেও আমরা অনেকেই বই তুলে দিতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকে গল্পের বই পড়ে শোনানো থেকে শুরু করে, মুখে মুখে গল্প বলা, রাতে গল্পের বই নিয়ে শুতে যাওয়া সবই ছিল এই বইপড়া অভ্যাসের অর্ন্তগত। তখনই দেখেছিলাম ব্রিটিশ লেখিকা জে. কে. রাউলিং এর 'হ্যারি পটার' রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন ভাষায় এর অনুবাদ হয়েছে। ভাবা যায় ১১০ মিলিয়ন কপি পর্যন্ত এই বইয়ের বিক্রির রেকর্ড হয়েছে। এখানে হ্যারিপটারের সাথে সাথে গুজবাম, রোয়াল্ড ডাল এধরনের অনেক বিদেশি বইও বাচ্চারা পড়তো।
যারা বই পড়তে ভালবাসেন, তাদের পছন্দের রকমফের থাকে। কেউ ভারি বই, কেউ চটুল বই, কেউবা শিশুতোষ বই পড়তে ভালবাসেন। আবার কেউ পড়েন ইংরেজি সাহিত্য, কেউবা পড়েন বাংলা। অনেকে আছেন শুধু কবিতা পড়েন, অনেকে ধর্ম সংক্রান্ত বই পড়েন। মূল কথা হচ্ছে যার যেদিকে আগ্রহ, তিনি সেই বই পড়েন। বিজ্ঞান, চলচ্চিত্র, গান, প্রযুক্তি, নাটক, আর্ট, ভাষা, ধর্মতত্ত্ব কতকিছুইতো আছে পড়ার জন্য। কিন্তু দুর্ভগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে আমরা অধিকাংশ বাংলাদেশি এখন কিছুই পড়িনা।
কেন পড়িনা এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিজিটাল জমানার আবির্ভাব। বই হারিয়ে যেতে থাকলো আমাদের জীবন থেকে। আমি অন্যদেশের কথা জানিনা, তবে বাংলাদেশে যে বইপড়া বিষয়টা হারিয়ে গেছে তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। শিশু থেকে বুড়ো, সবাই আমরা এখন প্রযুক্তিতে আসক্ত।
বইপড়াতে যে ধৈর্য লাগে, তা আমাদের নেই। ই-রিডারের কারণে এখন হাজার হাজার শব্দের বই পকেটে নিয়ে চলাফেরা করা যায় বটে, কিন্তু কতজন তা করে? সত্যি কথা বলতে পড়তে খুব একটা আরামও লাগেনা। গাছের ছায়ায় বা নদীর ধারে বসে বসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ছাপা বই হাতে নিয়ে পড়ার যে আনন্দ, সেই আনন্দ কি ই-বুকে আছে? অনেকে বলছেন ইদানিং অডিও বুক বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেও ভাল, আমরা বলতে চাইছি বই পড়াটা চলুক, যেভাবে পড়ে, পড়ুক - তাও পড়াটা চলুক।
একসময় বইতো শুধু পড়া ছিল না, ছিল নতুন আর পুরোনো বইয়ের গন্ধ মাখা ভালবাসা। আমরা অনেকেই নিজেদের ঘরের বই দিয়ে লাইব্রেরি বানাতাম। খাতায় সাইন দিয়ে বন্ধুরা সেই বই পড়তে নিতো, আবার সময় মতো ফিরিয়ে দিতো। অপ্রিয় হলেও সত্য যে আমাদের বইপড়া কালচার বা সংস্কৃতি একেবারে ধসে পড়েছে।
বইপড়া সংস্কৃতিতে এই বিপর্যয় একদিনে হয়নি। আগে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ছোটখাট লাইব্রেরি ছিল, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বইয়ের গাড়ি আসতো পাড়ায় পাড়ায়। খেলাঘর, চাঁদের হাট, কঁচিকাচার আসর, গার্লস গাইড, বয়স স্কাউটের মতো শিশু সংগঠনগুলো শিশু কিশোরদের সুস্থ সংস্কৃতির ধারণা দিতো। ক্রমশ সব হারিয়ে গেল। সেখানে উঠে এলো ভিন্ন সংস্কৃতির আগ্রাসন। ভালো মন্দের বিচার করতে পারছিনা বলে একটা জগাখিচুড়ি মার্কা সাংস্কৃতিক জগতে এসে পড়েছি।
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, "বই আমাদের ভাবতে শেখায়, কল্পনা করতে শেখায়। কিন্তু ডিজিটাল জগত এত দ্রুত চোখের সামনে সবকিছু এতটাই স্পষ্ট করে সাজিয়ে দেয় যে, তখন মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা আর কল্পনা করতে পারেনা বা শেখেনা। কল্পনাশক্তি ছাড়া কোন মানুষ সৃজনশীলও হতে পারবেনা।"
বলা হচ্ছে বই আপনার মেজাজ ঠিক রাখতে সাহায্য করবে, মানসিক চাপ কমিয়ে তাজা করে তুলবে, ভাল সাহিত্য আপনাকে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ দিতে সক্ষম হবে, মানসিক পীড়ণ কমাতে সাহায্য করবে।
বিবিসির একটি রিপোর্ট বলেছে লেখকদের মতে, "গল্প, উপন্যাস, সাহিত্য আপনাকে সবকিছু থেকে পালাতে সাহায্য করে। ইংরেজি ভাষায় যাকে বলা হয়, এস্কেপিজম বা পলায়নবাদ। এই পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অন্য যেকোনো শিল্পের চেয়ে তীব্র ও শক্তিশালী।"
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে বইতো এখন মানুষ হাতেই নিতে চায়না, বিশেষ করে শিশুরা। তাহলে সৃষ্টিশীলতা, শক্তিশালী ভাষা, শব্দ প্রয়োগ করার ক্ষমতা, কথা বলার মতো তথ্য, যুক্তিতর্ক করার ক্ষমতা আসবে কোথা থেকে?
একটা ভাল বা প্রিয় বই মানুষ বারবার পড়ে কারণ প্রিয় বই বারবার পড়লে সেটি বিশেষ ধরনের 'বিবলিওথেরাপি' বা পুস্তক বিষয়ক চিকিৎসা দিতে পারে। একজন মানুষ যখন একই বই বিভিন্ন বয়সে পড়ে, তখন কিন্তু গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে তিনি তার বয়স অনুযায়ী আলাদা আলাদাভাবে বুঝতে পারবেন। এর মাধ্যমে মানুষের বোঝার সক্ষমতাটারও পরীক্ষা হয়ে যায়।
আধুনিক জগতে শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীদের আগ্রহের জায়গাকে মাথায় রেখে তাদের জন্য ইন্টারেস্টিং, তথ্যবহুল বই প্রচুর বাজারে আসছে। সেটা হতে পারে বুলিং বা কটূক্তি, মাদক, সমকামিতা, আত্মহত্যা, যৌনতা, সম্পর্ক, ডিপ্রেসন, ট্রমা, জঙ্গীবাদসহ আরও নানা ইস্যু, যা আগে সেভাবে ভাবাই হতো না।
কিন্তু যতোই বাজারে বই আসুক, পড়ার ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। কাজের প্রয়োজনে কিছু বই পড়লেও আসলে পড়ি ফেসবুক। আর তাই আমাদের জ্ঞান ফেইসবুকের তথ্যের মধ্যেই সীমিত। এখন মনেহচ্ছে ড, লুৎফর রহমান ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। জানতেন মানুষ একদিন বই না পড়ে ফেইসবুক পড়বে।
- লেখক: সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন