ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের ওপর ব্যর্থ গুপ্তহত্যার চেষ্টার ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) তদন্ত শুরু করেছে পাকিস্তানের পুলিশ। খবর রয়টার্স-এর।
পুলিশ জানিয়েছে, যদিও ইমরান খান দুজন আততায়ীর কথা দাবি করেছেন, মূলত হামলার ঘটনায় একজন জড়িত ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সরকারবিরোধী এক সমাবেশে বন্দুক হামলার শিকার হন গত এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া ইমরান। হামলায় তার পায়ে গুলি লাগে। বর্তমানে লাহোরে নিজ বাড়িতে আছেন তিনি।
দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদ শহরে ইমরানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত শুরুর কথা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
পুলিশ রিপোর্টের একটি কপি পেয়েছে রয়টার্স। সেখানে বলা হয়েছে, ভীড়ের মধ্যে ইমরানের কাছাকাছি থাকা এক ব্যক্তি একটি পিস্তল বের করে গুলি করতে শুরু করেন। এ ঘটনায় ইমরান খানসহ আরও ১০ জন আহত হন। পরে আহত একজন মারা যান।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ইমরান খানের একজন সমর্থক ইবতেসাম হাসান হামলাকারীকে ঘটনাস্থলে প্রতিহত করেন। এর ফলে আরও ভয়ংকর আঘাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন ইমরান।
ইমরান খান ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ইমরানের উল্লেখ করা সন্দেহভাজনদের মামলায় যুক্ত না করা পর্যন্ত তারা পুলিশের এ মামলা মেনে নেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ইন্টেরিয়র মিনিস্টার রানা সানাউল্লাহ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেজর-জেনারেল ফয়সাল নাসির তাকে হত্যা করার ছক কষেছিল বলে দাবি করেছেন ইমরান। নিজের দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাননি পিটিআই প্রধান।
পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনীই উভয়ই তার এ দাবি তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।