অ্যামাজনের শুরু থেকে এখনও একই টেবিল ব্যবহার করেন জেফ বেজোস
জেফ বেজোস বিলিয়নিয়ার হয়েও অ্যামাজনের শুরু থেকে এখনও ঘরে তৈরি একটি ডোর ডেস্ক (দরজা দিয়ে তৈরি টেবিল) ব্যবহার করেন।
তার বাগদত্তা লরেন সানচেজ এই সপ্তাহে ইন্সটাগ্রামে বেজোসের একটি ছবি পোস্ট করেন।
ছবিতে দেখা যায়, বেজোস তার টেবিলে বসে ল্যাপটপে কাজ করছেন।
বেজোসের আরেকটি পুরোনো ছবি শেয়ার করেছেন সানচেজ। যাতে দেখা যায় বেজোস অ্যামাজনের শুরুর দিকে ভাড়া বাড়ির গ্যারাজে ওই একই টেবিলে বসে কাজ করছেন।
ছবির ক্যাপশনে সানচেজ লিখেছেন, 'আজ সকালে যখন তার সঙ্গে কাজ করতে যাই, তাকে এত বছর পরেও এই টেবিল ব্যবহার করতে দেখে আমি ছবিটি তুলি।'
তিনি আরও লিখেছেন, 'শুরুর দিনগুলো থেকে তার সঙ্গে থাকা টেবিলে বসে কাজ করার ব্যাপারটি আমার দারুণ লাগে।'
অ্যামাজন ওয়েবসাইটের এক ব্লকে বলা হয়েছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার এক বছর পর ১৯৯৫ সালে বেজোস এই টেবিলটি তৈরি করেন।
কোম্পানির শুরুর দিকের কর্মীদের একজন নিকো লাভজয় বলেন, সেসময় কয়েকজন কর্মীর জন্য টেবিল কেনা প্রয়োজন ছিল। রাস্তার ওপারে একটি হোম ডিপো স্টোর (যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাড়ি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ যেমন: কাঠ, রং ও অন্যান্য সামগ্রী পাওয়া যায় যে দোকানে) ছিল।
লাভজয় বলেন, 'বেজোস প্রথমে বিক্রির জন্য রাখা টেবিলগুলো দেখেন, এরপর দরজা তৈরিতে ব্যবহৃত কাঠ দেখেন। দেখা যায় টেবিলের তুলনায় দরজার কাঠ অনেক বেশি সস্তা। তাই তিনি একটি দরজা কিনে এনে তাতে কয়েকটি পা লাগান।'
তিনি বলেন, টেবিলগুলো ছিল 'অমসৃণ' ও 'অনেক নড়বড়ে'। তাই কাজ করার সময় টেবিলের পায়ের নিচে কাগজ দিয়ে রাখতে হতো।
তিনি আরও বলেন, 'এভাবেই দাম কম হওয়ায় আমরা টেবিলের পরিবর্তে ডোর ডেস্ক তৈরি করি।'
২০১৮ সালের ব্লগ পোস্টে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ডোর ডেস্কগুলো অ্যামাজনের সংস্কৃতির অংশ এবং এগুলোর বিশেষত্ব হলো মিতব্যয়ীতার শিক্ষা। এই নকশার একটি আধুনিক সংস্করণ এখনও অ্যামাজন অফিসে ব্যবহার করা হয়।
এর আগে নেটফ্লিক্সের প্রথম সিইও মার্ক র্যান্ডল্ফ জানান, বেজোস তাকে বলেছেন এই অস্থায়ী ডেস্কগুলো একটি 'বার্তা।'
র্যান্ডল্ফ বলেন, 'মূলত এর দ্বারা বোঝানো হয় শুধু গ্রাহকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জিনিসে আমরা অর্থ ব্যয় করি, তাদের প্রয়োজন না এমন কোনো জিনিসে বেশি ব্যয় করি না।'
বেজোস ২০২১ সালে অ্যামাজনের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং বর্তমানে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি তিনি।
২০২৩ সালে বেজোস ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ইয়টে করে তার বাগদত্তা সানচেজকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন এবং বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।