পাপুয়া নিউগিনিতে আদিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৬৪ জন নিহত
পাপুয়া নিউ গিনির উত্তরাঞ্চলীয় উচ্চভূমিতে জাতিগত সংঘাতে কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এই হত্যাকাণ্ডকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসের 'সবচেয়ে বড়' সংঘাতের ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
স্থানীয় পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে পোস্ট-কুরিয়ার সংবাদপত্র জানিয়েছে, রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এনগা প্রদেশের ওয়াপেনামান্দা জেলায় এই হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। অ্যাম্বুলিন এবং সিকিন আদিবাসী গোষ্ঠীর পাশাপাশি তাদের মিত্ররা এই সংঘাতে জড়িত ছিল।
পুলিশ পোস্ট-কুরিয়ারকে জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত তারা রাস্তার পাশে, ঘাসের মাঠ থেকে এবং ওয়াপেনামান্দার পাহাড় থেকে প্রায় ৬৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো 'উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বন্দুক' যেমন 'একে৪৭' এবং 'এম৪' রাইফেল ব্যবহার করায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) জানিয়েছে, সহিংসতায় যেই আদিবাসীরা জড়িত তাদের মধ্যকার সংঘাতে গত বছর এনগা প্রদেশে ৬০ জন নিহত হয়েছিল।
দেশটির পুলিশ বাহিনীর একজন সিনিয়র অফিসার জর্জ কাকাস বলেছেন, "এটি এখন পর্যন্ত এনগাতে আমার দেখা সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড। হয়ত পাপুয়া নিউ গিনির সমস্ত উচ্চভূমিতেও।"
তিনি আরো বলেন, "আমরা এই ঘটনায় মানসিক ভাবে চাপে আছি। এটা কাটানো আসলেই খুব কঠিন।"
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রাফিক ভিডিও এবং ছবি উদ্ধার করেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে ছিন্নভিন্ন ও রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে যেগুলো একটি ফ্ল্যাটবেড ট্রাকের পেছনে স্তূপ করা হয়েছে।
সংস্থাটি আরো বলেছে, দেশটির সামরিক বাহিনী এই এলাকায় ১০০ সৈন্য মোতায়েন করলেও তাদের সংখ্যা এবং বন্দুক সংখ্যা সীমিত হওয়ার কারণে তাদের প্রভাবও সীমিত।
প্রধানমন্ত্রী জেমস মারার সরকারের বিরোধীরা রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন সহ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) একটি রেডিও সাক্ষাৎকারে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।