খারাপ চাকরিও ছেড়ে যাওয়া কেন এত কঠিন?
আপনার কি কখনও নেতিবাচক কর্মপরিবেশে কাজের অভিজ্ঞতা আছে? কিন্তু এমন হয়েছে নিজে থেকে আপনি চাকরি ছেড়ে আসতে পারেননি?
প্রায় প্রতিটি ক্লায়েন্ট আমাকে কর্মক্ষেত্রে তারা যে ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছেন সে সম্পর্কে বলেছেন।
কারো ক্ষেত্রে অসহযোগী বা নিষ্ঠুর ম্যানেজার, কারো কারো সংস্থার পক্ষ থেকে কর্মচারীদের জন্য প্রতিকূল নিয়ম-নীতি প্রণয়ন, কেউ কেউ আবার প্রতিনিয়ত ছাঁটাই চাপ ও বিভিন্ন উদ্বেগ নিয়ে থাকে, কারো আবার কর্মক্ষেত্রে নোংরা রাজনীতির কারণে নিজেকে অবমূল্যায়িত বোধ হয়।
তবুও বহু বছর ধরে সেই চাকরিতেই থেকে গেছেন অনেকে। তারা যদিও জানতেন তাদের কাজের পরিবেশ মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
জেনেশুনে এ ধরনের চাকরিতে থেকে যাওয়ার পাঁচটি কারণ রয়েছে: কারো কারো মনে হয় খারাপ চাকরি ছেড়ে যাওয়া কঠিন, তাদের এমন মনে হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করি আসুন।
অফিস পরিবারের প্রতি আপনার আনুগত্য
দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে সেই প্রতিষ্ঠান ও সেখানকার সহকর্মীদের প্রতি এক ধরনের আনুগত্যের অনুভূতি তৈরি হতে পারে।
আমার ক্লায়েন্ট বিয়াট্রিস (ছদ্মনাম) ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে একটি আইনি সংস্থায় চাকরি করতেন। তার আশা ছিল একসময় তাকে এই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার করা হবে।
কিন্তু একসময় তিনি জানতে পারেন, তাকে অংশীদারত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
বিয়াট্রিস আমায় বলেন, 'আশার আলো ফুরিয়ে গেল, আমি বুঝে গেলাম এটি কখনোই আমার প্রতিষ্ঠান হবে না। আমি এই মানুষগুলোর জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি, অথচ তারা আমাকে সেভাবে মূল্যায়ন করেনি। আমাকে নতুন করে ভাবতে হলো, আমি কি নতুন করে কিছু শুরু করব এবং অন্য কোথাও শেয়ারহোল্ডার হওয়ার চেষ্টা করব কি না?'
এটি তার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। অন্য একটি ফার্মের কাছ থেকে তিনি কাজের অফার পেয়েছিলেন, যেখানে পরবর্তীতে তাকে শেয়ারহোল্ডার করা হবে। তবুও তিনি বর্তমান প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছাড়ার ব্যাপারে মনস্থির করতে পারছিলেন না।
আমার ক্লায়েন্ট বলেন, 'আমি আমার পুরোনো ফার্ম ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রচণ্ড অপরাধবোধে ভুগছিলাম। আমি প্রতিটি ছুটি তাদের সঙ্গে কাটাতাম। এখানকার দুই সহকর্মী আমার সন্তানদের গডপ্যারেন্ট। এটা আমার পরিবারের মতো ছিল।'
শেষ পর্যন্ত, বিয়াট্রিস তার প্রতি ফার্মের আচরণ, আর ফার্মের প্রতি তার আনুগত্যের তুলনা করেন। যা তাকে অন্য ফার্মের প্রস্তাব গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছিল।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে কী করতে হবে:
প্রথমে ভাবুন যে কোনো প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কাজের জন্য আপনার দক্ষতা ও সক্ষমতা ব্যবহার করার জন্যই আপনাকে নিয়োগ দিয়েছে।
আপনি যদি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশিত কাজের জোগান না দিতে পারেন বা প্রতিষ্ঠানটি তার লক্ষ্য পরিবর্তন করে এবং আপনার দক্ষতার তাদের আর প্রয়োজন না হয়, তবে তারা আপনাকে যেতে দেবে। এবার সেই যুক্তি উল্টে দিন। চাকরিতে নিজেকে পরিপূর্ণ ও মূল্যবান বোধ করার জন্য আপনার কী প্রয়োজন তার লেন্সের মাধ্যমে আপনি কীভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন তা দেখুন। আপনি যা দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান আপনার জীবনের প্রয়োজন ও প্রাপ্য মূল্য ঠিকঠাক দিচ্ছে কি না তা নির্ণয় করুন।
এ ক্ষেত্রে নিজেকে জিজ্ঞাসা করার মতো কিছু প্রশ্ন হলো:
• কোম্পানি কি আমাকে সুযোগ-সুবিধা এবং উন্নয়নের সুযোগ দিচ্ছে, যা আমার ক্যারিয়ার ও জীবনকে উন্নত করবে?
• কোম্পানির নীতিগুলো কি আমার নির্দিষ্ট চাহিদাগুলো পূরণ করছে?
• আমি যে কাজ করছি প্রতিষ্ঠান কি তার স্বীকৃতি হিসেবে আরও অর্থ, পদোন্নতি, অংশীদারত্ব, বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দিচ্ছে; যা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ?
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান-কর্মচারী সম্পর্ক উভয় পক্ষের আনুগত্য ও প্রতিশ্রুতির ওপর নির্ভরশীল। এটা কেবল একপক্ষের লক্ষ্য অর্জন বা বেতন পাওয়ার বিষয় না।
কাল্ট সুলভ পরিবেশ
কেউ যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়, তখন সে স্বাভাবিকভাবেই একটি সাধারণ মিশন বা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
যদি কোম্পানির একটি ধর্মানুরাগী মিশন থাকে যেমন: মানুষকে সুস্থ, সফল, সুখী হতে বা পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করা, তবে কর্মচারীরা মনে করেন তারা মানবতা বা বিশ্বের বৃহত্তর কল্যাণে অবদান রাখছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার চিন্তা করলে কর্মীদের মধ্যে স্বার্থপর বা এমনকি বিশ্বাসঘাতক বোধ হতে পারে। যেমন: মনে হতে পারে আপনি একটি সম্মিলিত মিশন 'ছেড়ে দিয়েছেন'।
এমনকি যদিও সংস্থাটি মানুষ বা বিশ্বের উপর বড় প্রভাব ফেলতে না পারে, তবুও অভ্যন্তরীণ পরিবেশের কারণে এক ধরনের আবহ সৃষ্টি হয়। কর্মীদের মনে হয় তারা একসঙ্গে একটি বৃহত্তর লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে আসার চিন্তা করাটাও মানুষের মনে অপরাধবোধ সৃষ্টি করতে পারে।
বৃহত্তর কাজে যুক্ত থাকা অথবা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মতো মনোবল ধরে রাখার অনুভূতি একসময় আসক্তিতে পরিণত হতে পারে। এই মোহ চাকরির নেতিবাচক অনুভূতি বিস্মৃত হতে সহায়তা করে।
আমি যখন টিভি নিউজ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতাম, তখন কেউ পিআর বা অন্য কোনো চাকরিতে যোগ দিলে, বাকিরা বলতেন সে (যিনি অন্য চাকরিতে গেছেন) এই চাপ নিতে পারছে না বা এই দায়িত্ব পালন করা তার জন্য কষ্টকর, তাই সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু যারা রিপোর্টিং ছেড়ে যেত, তারা মূলত দীর্ঘ কাজের সময়, সারা সপ্তাহ প্রচণ্ড কাজের চাপ, ছুটির দিনেও কাজ করা এবং কম বেতন প্রভৃতির কারণে চাকরি ছাড়ত।
তারা তাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের জীবনের জন্য আরও বেশি অর্জন করতে চাইতো।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে কি করতে হবে:
যদি আপনি আপনার চাকরিরত প্রতিষ্ঠানের প্রতি তীব্র টান অনুভব করেন, তা আপনাকে অস্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ ছেড়ে যেতে বাধা দিচ্ছে। তাহলে আপনি আপনার কাছে কী গুরুত্বপূর্ণ তা নির্ণয় করতে এবং চাওয়াগুলো এই চাকরিতে পাচ্ছেন কিনা তা নির্ধারণ করতে কিছুটা সময় নিন।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন:
• কর্মক্ষেত্রে আমার কাছে কী গুরুত্বপূর্ণ এবং আমার কাছে এগুলোর গুরুত্ব কতটুকু?
• আমার কোন চাওয়াগুলো এখানে সম্মানিত হচ্ছে বা অবমূল্যায়িত হচ্ছে?
• আমার চাওয়াগুলো পূরণ করার জন্য আমার কী করার আছে?
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার আইডিয়া শুনলে ও বিবেচনা করলে আপনার নিজেকে মূল্যবান মনে হয়, কিন্তু আপনার পরিচালক প্রতিনিয়ত আপনাকে উপেক্ষা করেন বা আপনার কথার গুরুত্ব না দেন; তাহলে কি আপনি আপনার ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন কেন বিষয়টি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অথবা বিষয়টি কীভাবে আপনার কাজে কি প্রভাব ফেলছে তাকে তা জানাতে পারবেন?
যদি না পারেন, তাহলে ভেবে দেখুন আপনার কাছে কি নিজের মূল্যবোধের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
প্রতিষ্ঠানের জন্য নস্টালজিয়া
আপনি নতুন করে কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলেন, এরপর কয়েক মাস বা কয়েক বছর দারুন অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করলেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনি আপনার কাজের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করবেন।
কিন্তু এরপরে যদি নতুন দলনেতা, নতুন কাঠামো বা কৌশলগত দিকনির্দেশের পরিবর্তন আসে, তখন হয়ত আপনাকে এসবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হতে পারে। এই ধরনের সাংগঠনিক পরিবর্তনের ফলে মনে বিরূপ, বঞ্চিত ও হতাশার অনুভূতি হতে পারে।
যদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনগুলো গ্রহণ করতে বা মানিয়ে নিতে নিজের সঙ্গে লড়াই করতে হয় এবং আপনার মনে 'আমি এই চাকরি ছেড়ে যেতে চাই না কারণ আমি আমার প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসি' এর বদলে 'আমি চলে যেতে চাই না কারণ আমি আমার কাজকে ভালবাসি' এমনটা মনে হয়, তবে ভাবতে হবে আপনি অতীতে পড়ে আছেন। আশা করছেন প্রতিষ্ঠানটি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে, তখন সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে কী করবেন:
পরিবর্তন কঠিন, তাই নিজেকে মানিয়ে নিতে এবং কাজের জন্য এই পরিবর্তন কতটা গুরুত্ববহ তা অনুধাবন করতে কিছুটা সময় নিন। পরিবর্তনটি মেনে নেওয়ার পরে, বর্তমান পরিস্থিতি এখনও আপনার মূল্যবোধ ও কাজের লক্ষ্যগুলো পূরণ করছে কিনা তা লক্ষ্য করুন।
সময় নেওয়ার পরেও আপনি যদি দেখেন এখনও আপনাকে চাকরি নিয়ে নিজের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে, তাহলে নিজেকে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলো করুন:
• আমি যখন চাকরিতে ঢুকি তখন প্রতিষ্ঠানটি কেমন ছিল এবং বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির বাস্তবতা কী?
• কী করলে পরিবেশ ভালো হবে?
• আমার আকাঙ্ক্ষিত যে বিষয়গুলো এখন পূরণ হচ্ছে না সেগুলো পূরণ করার জন্য আমি কি কিছু করতে বা কাউকে অনুরোধ করতে পারি?
• প্রতিষ্ঠান, দল ও নেতা; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবাই পরিবর্তন হয়। আপনি বর্তমান বাস্তবতায় বাঁচতে চান, নাকি অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চান তা বিচার করা আপনার উপর নির্ভর করছে।
ইক্যুইটির ফাঁস
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা কিছু ইক্যুইটি অনুদান পান। যেমন আরএসইউ বা স্টক অনুদান।
স্টক অনুদান একটি নির্দিষ্ট সময় পর পাওয়া যায়, সাধারণত এর জন্য কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। অতএব, বিরক্তিকর কাজের পরিবেশ সহ্য করার পরে আপনি আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন যে সেই প্রাপ্য কি আপনি এখন যা সহ্য করেছেন তার জন্য যথেষ্ট?
কিন্তু আপনি কতটা ট্রমা সহ্য করতে ইচ্ছুক? কখনো কখনো ইক্যুইটির জন্য অপেক্ষা করাটা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এটি আপনার জন্য যথেষ্ট মূল্যবান কিনা তা নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই পরিস্থিতিতে কি করতে হবে:
হিসাব করে দেখুন বর্তমান স্টকের দাম অনুযায়ী প্রতিটি প্রাপ্য থেকে আপনি কখন এবং কত টাকা পাবেন। আপনি যদি উত্তর খুঁজে না পান, তবে আপনার ব্রোকার বা হিসাবরক্ষককে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করুন:
• ট্যাক্স ও অন্যান্য ব্যয়ের পর আমি কত টাকা পাব?
• আমি যদি এই অর্থ ছেড়ে দেই বা আমার স্টক ন্যস্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তবে এটি কি আমার অবসর গ্রহণের পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলবে?
• প্রাপ্য স্টক মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ আয় করার জন্য আমাকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে হবে?
আপনাকে চাকরিতে রাখার জন্য ইক্যুইটি ইনসেনটিভগুলো দেওয়া হয়। অনেক সংস্থা ক্ষতিপূরণ প্রোগ্রামের মাধ্যমে চাকরির মেয়াদকালে অতিরিক্ত অনুদান দেয়। এক্ষেত্রে কোনো 'চূড়ান্ত' ন্যস্ত তারিখ নেই।
তবে আপনি চাকরি ছাড়ার আগে কতটা আয় করতে চান এবং কতটা ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক, সে পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় চাকরি ছাড়ার মাধ্যমে আপনি অনির্দিষ্টকাল ধরে চলা চক্রটি ভাঙতে পারেন।
ভয়
চাকরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে মানুষ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে ভয় পায়। যেমন: হয়ত অন্য কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, নিজেকে আবার প্রমাণ করতে হবে, খুব বেশি অর্থ উপার্জনের সুযোগ না পেলে কী হবে, কীভাবে নতুন চাকরি খুঁজবেন তা না জানা প্রভৃতি।
আপনি যদি খারাপ কর্মপরিবেশে থাকেন, তখন ভয় আপনার আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে ফেলতে পারে। এ অবস্থায় ভাল কাজের পরিবেশ খোঁজার স্পৃহা মরে যেতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে কী করতে হবে:
আপনার ভয়কে কাটিয়ে উঠতে ইতিবাচক কর্মপরিবেশে আপনার জীবন কেমন হতে পারে তা কল্পনা করুন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং এই বিষয়গুলো বিবেচনা করুন:
• যদি আমি চলে যেতে ভয় না পেতাম, তাহলে কী হতো?
• আমার নতুন কাজের পরিবেশ কেমন হবে, আমার মনে কি অনুভূতি কাজ করবে?
• পরিবর্তন আনতে আমার কী ধরনের সমর্থন দরকার?
• সবশেষে ভাবুন এখন আপনি যে পরিবেশে কাজ করছেন আপনার কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু সে পরিবেশে কাজ করলে, আপনি তাকে কী পরামর্শ দিতেন?
খারাপ চাকরি ছেড়ে যাওয়া কখনোই সহজ না। প্রতিটি মানুষের সহ্য ক্ষমতা ভিন্ন। তাই আপনি কেন ট্রমার পরিস্থিতিতে এত দিন ছিলেন, তা নিয়ে নিজেকে অভিসম্পাত করতে থাকলে কোনো লাভ হবে না।
তবে ভালো-মন্দ সব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিলে আপনি স্বাধীনভাবে চাকরি বাছাইয়ে আরও বেশি সক্ষম ও আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবেন।
পরবর্তীসময়ে তাহলে অনুরূপ পরিস্থিতি থেকে সহজেই নিজের জন্য কোনটা ভালো সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
ভাবানুবাদ: তাবাসসুম সুইটি