ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির কোনো আশা নেই, কিন্তু কেন?
ওয়াশিংটন এবং ইউরোপের রাজধানীগুলোয় গুঞ্জন যতই হোক- বিশ্বাস করবেন না যে ইউক্রেনে অচিরে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে। যার কারণ খুবই সহজ: বর্তমান অবস্থায় যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়ার কোনো লাভ নেই।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট একটি যুদ্ধবিরতির আভাস দিয়েছিলেন– একথা সর্বান্তকরণে সত্য; কিন্তু তাঁর মতে, যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সুরাহারও দরকার।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ইউক্রেন জিততে পারবে না– যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে দিন দিন এ ধারণাকে স্বীকার করে নেওয়ার ঘটনা বাড়ছে। এমনকী বাইডেন প্রশাসনপন্থী গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত– সিএনবিসি যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রতিবেদন করছে।
এখানে অনিশ্চয়তা হলো: ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে না পারলে, এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো কী করবে? এই সমস্যার তাৎক্ষণিক বা সরল কোনো সমাধান নেই।
একটি সমাধান হতে পারে রাশিয়ার সাথে মেকি আলোচনার মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতি, তারপর ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন করে আবারো যুদ্ধ শুরু, যখন কিয়েভ আবারো আক্রমণ অভিযানে নামতে পারবে।
কিন্তু, রাশিয়াকে এবারে এমন 'গোবরের বস্তা' গছিয়ে দেওয়া যাবে না। বিশেষত যখন বিশেষত জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ পশ্চিমা নেতারা প্রকাশ্য বলেছেন যে, রাশিয়ার সাথে নরম্যান্ডি গ্রুপের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের আলোচনা (যার ভিত্তিতে পরে মিনস্ক-১ ও মিনস্ক-২ চুক্তি হয়) ছিল একটি ছল মাত্র। যার একমাত্র উদ্দেশ্যই ছিল- ন্যাটো যেন ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষিত করার যথেষ্ট সময় পায়, এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর ব্যাপক গোয়েন্দা কাঠামোকে যেন কাজে লাগানো যায়। একইসঙ্গে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করাও ছিল এর উদ্দেশ্য, যাতে যুদ্ধপ্রস্তুতি থাকে তাঁদের।
পশ্চিমাদের আগের বিশ্বাসভঙ্গ থেকে কঠিন শিক্ষা নিয়েছে রাশিয়া। বিশেষত, নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন– যিনি ম্যার্কেলকে বিশ্বাস করেছিলেন। তিনি কোনো ইউরোপীয় নেতাকেই আর বিশ্বাস করবেন না, জার্মান কোনো নেতাকে তো একদমই নয়। পুতিন এখন বুঝতে পারছেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর 'শান্তি প্রচেষ্টা'র উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে ধোঁকা দেওয়া।
পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বার্তাসংস্থা তাস'কে বলেছেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর জায়গায় ইউক্রেনে নতুন কোনো সরকার এলে– রাশিয়া শুধু তাদের সাথেই সংলাপে বসবে।
মেদভেদেভ মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেন, এমনকী কখনো-সখনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিও দিয়েছেন, যা আসলে রুশ সরকারের সকলের মনের কথা নয়। কিন্তু, তাই বলে মেদভেদভের এবারের মন্তব্যকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, পুতিনের শাসনকে যৌক্তিক ও দায়িত্বশীল দেখানোর ক্ষেত্রে তিনি একটি বড় ভূমিকা পালন করেন। অনেক সময় তাঁর কণ্ঠে পুতিনের চিন্তাধারার প্রতিফলনও দেখা যায়। রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য কিয়েভে শাসকগোষ্ঠীর পটপরিবর্তনের কথা তুলে– তিনি কিয়েভ ও জেলেনস্কির প্রতি ক্রেমলিনের মূল ধারণাকেই সামনে এনেছেন।
চরম শত্রুভাবাপন্ন একটি সরকারের সাথে কখনোই যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে চাইবে না রাশিয়া। বিশেষত, যে সরকারে রয়েছেন কিরিলো বুদানভের মতো ব্যক্তি। ইনি হলেন ইউক্রেনের গুপ্তচর সংস্থার প্রধান, রাশিয়া তাঁকে 'মোস্ট ওয়ান্টেড' হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইউক্রেনের রুশ-অধিকৃত এলাকায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গুপ্তহত্যাসহ আরও অনেক নাশকতামূলক কাজের মূল নির্দেশদাতা হলেন বুদানভ। রাশিয়াও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুপ্তহত্যা করে, কিন্তু বুদানভের অনেক সফল অভিযান মস্কোকে বিস্মিত ও ক্রুদ্ধ করে তোলে। ফলে মস্কোর কাছে তিনি একজন দাগী আসামি হয়ে উঠেছেন।
এদিকে ওয়াশিংটন ও সিআইএ'র চোখের মণি- বুদানভ। তিনি হলেন তাদের পছন্দসই ব্যক্তি। ফলে ডনবাস, ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধবংসে তিনি অকূন্ঠ পশ্চিমা সমর্থন পান। রাশিয়ার পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ইউক্রেনের কোনো ব্যক্তিকেও শত্রুজ্ঞান করলে– তিনি তাঁকে বিনা জবাবদিহিতে হত্যা করতে পারেন। গোয়েন্দা কার্যক্রম দিয়ে তুলনামূলক কম খরচেই কাজ হাসিল করেন বুদানভ, অথচ যুদ্ধের ময়দানে রুশ সেনাদের হত্যায় বিপুল অস্ত্র সহায়তা দিতে হয়ে পশ্চিমাদের। এখানেই তাঁর বুদানভের গুরুত্ব। শত্রুর লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে তাই বুদানভকে তথ্য ও অন্যান্য সহায়তা দেয় মার্কিন ও ইউরোপীয় চরেরা। রাশিয়ার বিরোধী দলগুলোর থেকেও তথ্য পান বুদানভ। ফলে ল্যাংলির সিআইএ সদর দফতরে তিনি একজন 'নায়ক'।
অর্থাৎ, আগামীতেও বুদানভের হাত ধরে নাশকতা চলবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এই অবস্থায়, মস্কো কেন বসতে চাইবে শান্তি আলোচনায়!
জেলেনস্কিও নিজের জন্য এমন সব মুসিবত তৈরি করে ফেলেছেন, যা সহজে তাঁকে ছাড় দেবে না। ইউক্রেনের পার্লামেন্ট ভার্খভনা রাদার সম্মতি আদায় করে তিনি এক ডিক্রি জারি করেছেন– যেখানে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা ক্রিমিয়াসহ ইউক্রেনের অন্যান্য এলাকা ছাড়ার আগে যেকোনো আলোচনার উদ্যোগ হবে অবৈধ বা অসাংবিধানিক। এই ডিক্রি রাশিয়ার সাথে আলোচনার পথ রুদ্ধ করে। এখন যদি খোদ জেলেনস্কিও আলোচনা চান, রুশ সরকার কিন্তু এটি ভুলবে না।
আগামী দিনগুলোতে রাশিয়ার আরও লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করবে ইউক্রেন। ক্রিমিয়ায় বোমা ফেলাও হয়তো পাবে নতুন মাত্রা। এসবের মাধ্যমে পুতিনের কাছে কঠোর এক বার্তাই দেবে কিয়েভ। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সমর্থনে যদি এটা বাস্তবায়িত হয়– তাহলে রাশিয়ার পক্ষ থেকেও চরম পাল্টা আঘাত আসবে। এসব ঘটনা রাশিয়াকে যুদ্ধের লক্ষ্য নির্ধারণেও সহায়তা করবে।
কিছুকাল আগেও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার মূল লক্ষ্য ছিল দুটি। প্রথমটি হলো– ন্যাটোকে ইউক্রেন থেকে তাড়ানো এবং তারপর দেশটির বেসামরিকীকরণ। রাশিয়ার এই যুদ্ধের যে ফলাফল আশা করেছিল– সেখানে ধরেই নেওয়া হয়েছিল মস্কোর অনুকূল শর্তের অধীনে যুদ্ধ শেষ হলে– ন্যাটোকে খেদানো হবে, এবং ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতাকে পঙ্গু করা হবে। মস্কো নিশ্চিত করবে ইউক্রেনের যেন কোনো ধরনের আক্রমণ চালানোর মতো সামরিক সংগঠনই না থাকে। বিনিময়ে ইউক্রেন তাঁর পছন্দ অনুসারে যেকোনো দেশের থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিতে পারবে।
কিন্তু, যুদ্ধের এসব প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি রাশিয়া। দুই বছর যুদ্ধের পর এতে বেশকিছু পরিবর্তনও সম্ভবত হচ্ছে।
ইউক্রেনে শাসকগোষ্ঠী পরিবর্তনের যে উক্তি মেদভেদেভ করেছেন, এটি তেমনই একটি সম্ভাবনার কথা বলছে যা মস্কোর প্রধান শর্ত হতে পারে। ইউক্রেনের যেসব ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার দখলে– আলোচনার টেবিলে সেটিও থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়া দখলকৃত এলাকার ওপর তার কতৃত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক– এমনটাই চাইবে। কিন্তু, মূল বিষয়বস্তু হবে ভবিষ্যতের ইউক্রেন কেমন হবে– সে ব্যাপারে রাশিয়ার নিজস্ব ভিশন।
যুদ্ধে দখল করা ভূমির ওপর রাশিয়ার অধিকার মেনে নেওয়া এবং কিয়েভে একটি রাশিয়ার প্রতি বন্ধুসুলভ সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে– তার একটি রূপ। সরকারের এহেন পরিবর্তন নির্বাচনের মাধ্যমে করা সম্ভব হবে না। ফলে এটি করা সম্ভব কেবল অসাংবিধানিক উপায়ে। ক্যুদেতা বা রাজনৈতিক-সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। যা কট্টর জাতীয়তাবাদীদের শাসনক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।
দ্বিতীয় রূপটি হতে পারে এমন– যেখানে ইউক্রেনকে তিনটি অংশে ভাগ করা হবে। একটি অংশ হবে রাশিয়ার দখলীকৃত অঞ্চল নিয়ে। দ্বিতীয়টি হবে, কিয়েভে বন্ধুপ্রতিম একটি সরকার দ্বারা শাসিত। পশ্চিম ইউক্রেনে পশ্চিমাপন্থী সরকারের শাসিত তৃতীয় অংশটি একটি ভিন্ন ইউক্রেনীয় রাষ্ট্র হতে পারে, যার সাথে রাজনৈতিক সংযোগ থাকবে পোল্যান্ডের।
এরমধ্যেই রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হামলা ঠেকাতে একটি বাফার জোনের বিষয়ে ভাবছেন রুশ নীতিনির্ধারকরা। ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার এটাকমস মিসাইল পেয়েছে, এবং অচিরেই জার্মানির তৈরি তাওরাস মিসাইল পাবে। এই অবস্থায়, বাফার জোনটি হতে পারে নিপার নদী থেকে আরও পশ্চিমদিকে।
রাশিয়া যদি কিয়েভ থেকে সরকারকে উৎখাত করতে পারে, তাহলে তারা লাভিভ বা পশ্চিম ইউক্রেনের অন্য কোথাও চলে যাবে– যেখানে তারা ন্যাটো জোটের সুরক্ষা পাবে। এভাবে বাফার জোন পেয়ে যেতে পারে রাশিয়া।
এই খেলায় একমাত্র 'ওয়াইল্ড কার্ড' হলো ন্যাটো। এই সামরিক জোটের সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে কতোটা আগ্রহী হবে, বা আদৌ তা চাইবে কিনা– তা নির্ধারণ করবে আরও অনেক কিছু।
নিজস্ব সেনা পাঠিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা করার অবস্থা নেই ন্যাটোর। এজন্য তাদের বর্তমান সৈন্যসংখ্যা যথেষ্ট নয়, আর সেনা পাঠালে খোদ ন্যাটো দেশগুলোই অরক্ষিত হয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বিশেষত বাল্টিক দেশগুলোর নিরাপত্তা ব্যাহত হবে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে বিমানশক্তিই হতে পারে একমাত্র উপায়। ন্যাটোর বিমান রাশিয়ার সামরিক অবস্থানে বোমা হামলা করতে পারে। লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে রাশিয়ার মিত্র বেলারুশও।
কালিনিনগ্রাদ রাশিয়ার সামরিক কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিটমহল, ১৯৪৫ সালে পটসড্যাম চুক্তিতে এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে দেয় মিত্রশক্তি। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে, এই ভূখণ্ড অবরোধ করতে পারে ন্যাটো।
পূর্ব মলডোভা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া রুশ প্রভাবিত ভূখণ্ড ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় হামলা করতে পারে ন্যাটো। এই অঞ্চলে রাশিয়ার একটি সেনাঘাঁটিও রয়েছে, তবে এই ভূখণ্ড রক্ষার জন্য এর সাথে সরাসরি স্থলপথে কোনো যোগাযোগের উপায় নেই রাশিয়ার। সে তুলনায়, কালিনিনগ্রাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যথেষ্ট মজবুত। আর ট্রান্সনিস্ট্রিয়া হলো দুর্বল।
ন্যাটোর সব সদস্য রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না। আক্রমণকারী পক্ষ হিসেবে ন্যাটোর আর্টিকেল ৫ এর বাস্তবায়নও করা হবে অসম্ভব।
ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে দিতে প্রায় নিঃশেষ ইউরোপের গোলাবারুদের মজুত, ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনাবাহিনীগুলোও বাজে অবস্থায় রয়েছে (পোল্যান্ড ছাড়া)। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া ইউরোপের নিজস্ব বিমান শক্তিও তেমন নয়। ফলে ন্যাটোর জন্য সেরা উপায় হলো– ইউক্রেনের পতনের আগে হোক বা পরে– রুশ সরকারের সাথে সংলাপের চেষ্টা করা।
কিন্তু, ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, ইউক্রেনকে খুব শিগগিরই যেসব এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়া হচ্ছে, তার মাধ্যমে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা করার অনুমতি দিয়েছে ন্যাটো। প্রত্যুত্তরে রাশিয়া বলেছে, এমনটা হলে রুশ হামলা কেবল ইউক্রেনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ফলে আগামী দিনে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ সমগ্র ইউরোপের। ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও ক্ষীণ।
লেখক: স্টিফেন ব্রিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির নিকটপ্রাচ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সাবেক স্টাফ ডিরেক্টর।